কিরণ সেখ : নেতাকর্মীরা তাদের মধ্যে বিদ্যমান সব বিভেদ-দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবিতে খুব শিগগিরই মাঠে নামবে। এজন্য বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সহায়ক সরকার ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা আছে। তারা খুব শিগগিরই মাঠে নামবে। আর এখানে নেতৃত্বের কোনো কোন্দল থাকবে না। আমি বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই ক্ষমতায় আসবে। সেই কারণে নেতাকর্মীরা তাদের সব বিভেদ ভুলে গিয়ে, ব্যক্তিগতভাবে কে কতটা জনপ্রিয় সেটা প্রকাশ না করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তারা রাজপথের আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশে একটি সহায়ক সরকার হবে, যে সরকার নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচন করবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন যত শক্তিশালীই হোক না কেন, প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। কারণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে প্রশাসন কখনও নিরপেক্ষ হতে পারবে না। এর জন্য নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার যে নামেই হোক তাদের নির্বাচনের ফলাফলের উপর ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ থাকবে না। আর এই সরকার আলাপ- আলোচনার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি মনে করি। এর ব্যত্যয় ঘটলে তাহলে বিএনপির যে নেতাকর্মী (শুধু ঢাকার শহরে আছে) গণতান্ত্রিক উপায়ে সহায়ক সরকারের দাবি আদায় করার জন্য যথেষ্ট।
কবে নাগাদ বিএনপি সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবে- এই প্রশ্নের জবাবে বিএনপির বিশিষ্ট আইনজীবী এ নেতা বলেন, সহায়ক সরকারের রূপরেখার কিছু নেই। কারণ আমরা এমন একটি সরকার চাচ্ছি, যে সরকারের নির্বাচনকালীন সময়ে যাদের কোনো স্বার্থ থাকবে না। অর্থাৎ নির্বাচনে হারলেও তাদের কোনো স্বার্থ নাই, আর জিতলেও কোনো স্বার্থ নাই। তারা নিরপেক্ষভাবে আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে। তা না হলে বর্তমান সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। কারণ এটা হলে প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে কখনও পদক্ষেপ নিতে সাহস পাবে না। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ