ইমরুল শাহেদ : ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ তার মন্ত্রিসভায় লিঙ্গ বৈষম্য রাখেননি। বুধবার ২২ জনের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন তিনি। তার মধ্যে ১১ জন মন্ত্রীই নারী। প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি, স্বরাষ্ট্র, আইন এবং ক্রীড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রযেছেন নারীরা। সিলভি গাউলার্ড পেয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অলিম্পিকে ফেন্সিং বিভাগে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন লরা ফ্লেসেল ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রুনো লে মাইরে। গেরার্দ কলম্ব পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিচার মন্ত্রী হয়েছেন ফ্রাসোয়াঁ বেরৌ। এই ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণপন্থী এবং বামপন্থী, দুই দলেরই প্রতিনিধিরা। গত সোমবার দক্ষিণপন্থী নেতা এদুয়ার্দো ফিলিপকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছিলেন ম্যাক্রঁ। তারপর রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে বিবৃতি পেশ করেন ম্যাক্রঁ। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৭০ জন দক্ষিণপন্থী সাংসদ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন। তাদের বিরোধিতা করে ৫৭০ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি পাল্টা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন। দক্ষিণপন্থীদের অভিযোগ, ম্যাক্রঁর এই নীতি আসলে রাজনীতির পরিপন্থী। এভাবে সংস্কারের বদলে রাজনীতির অবস্থা আরও খারাপ করছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। শুধু দক্ষিণপন্থীরাই নয়, বামপন্থীদের একাংশও ম্যাক্রঁর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, আগামী মাসে হতে চলা পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিজের এবং তার নতুন দলের আস্থা অর্জন করতেই এই দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ ম্যাক্রঁর। তবে ম্যাক্রঁ নিজেও আশা করছেন আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দলই ৫৭৭টি আসনের বেশি সংখ্যক আসন পাবে। অস্ট্রেলিয়ান বার্তা সংস্থা নিউজ জানিয়েছে, তার দলের সমর্থন ক্রমশই বাড়ছে। ম্যাক্রঁর মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন জঁ-ইয়েভস লে ড্রিয়ান, নিকোলাস হুলট, রিচার্ড ফেরান্ড, এ্যাগনেস বুজিন, মুরিয়েলে পেনিকদ, মউনির মাহঝৌবি, ফ্রাসোয়াঁ নিসসেন, জঁ-মিচেল ব্ল্যান্কুয়ার এবং জেকস মেজার্দ। সূত্র : বিবিসি