বিপ্লব বিশ্বাস : রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগ আনা দুই ছাত্রীর সঙ্গে প্রধান ৩ আসামির অনেক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরমধ্যে প্রধান আসামি সাফাতের সঙ্গে এক ছাত্রীর আপত্তিকর ছবিও রয়েছে। তবে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেসবুকে ছবি পোস্ট করা হয়েছে বলে দাবি করে এক ছাত্রী জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া যারা আমার ছবি পোস্ট দিচ্ছেন তারা সম্মানহানির চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় আইনের সহায়তা চেয়ে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করবো। গতকাল শুক্রবার সকালে কথা হলে ওই ছাত্রী মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, একটা ছবি জোরপূর্বক তোলা হয়েছিল। পরে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলা হয় যে তারা সেসব ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেবে। এর বাইরে কিছু ছবি তারা ফটোশপের মাধ্যমে মাথা কেটে অ্যাডজাস্ট করে ফেসবুকে দিয়েছে। আর ক’টা ছবি আমাদের ফেসবুক থেকে নিয়ে কারসাজি করে দিয়েছে।’
কে বা কারা করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজেও জানি না ঠিক কারা এ বাজে কাজগুলো করছে। তবে আমি যেসব পেজ ও ফেসবুক ওয়াল থেকে ছবিগুলো দেখতে পেয়েছি সেসবের তালিকা করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করবো। আইনের আশ্রয় নেবো। যে বা যারা এ ধরনের ছবি পোস্ট দিয়ে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে তাদের যেন শাস্তি হয় সেজন্যই মামলা করবো। মামলার পর সঠিক তদন্ত হলে ফেসবুকে কে বা কারা আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেছে, ছবি কারা কোন স্বার্থে জোগান দিয়ে সহযোগিতা করেছে সবই বেরিয়ে আসবে।।
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ওই দুই ছাত্রী। সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধুদের যোগসাজশে অস্ত্রের মুখে তাদের ধর্ষণ করা হয় বলে দাবি করেন তারা। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ