লোকসভা ভেঙে দিয়ে ভোট এগিয়ে আনতে চান মোদি
ডেস্ক রিপোর্ট : বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদি তার এই ইচ্ছার কথা জানিয়েই থেমে থাকেননি। মোদি তাদের বলেছেন, দেশে আইন করে লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট করারও পরিকল্পনা রয়েছে তার। নির্বাচন কমিশন ও নীতি আয়োগের সঙ্গে কিছুদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। সম্প্রতি নীতি আয়োগ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব। আনন্দবাজার
মোদি ওই মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে বিজেপি রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে। এর পর যদি লোকসভা ও রাজ্যসভায় এ ব্যাপারে আইন পাস করানো সম্ভব হয়, তাহলে ওই বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালের শেষে শীতকালে ভোট করা যাবে না কেন?
বসুন্ধরা রাজে, শিবরাজ সিংহ চৌহান, রমন সিংহের মতো বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা প্রকাশ্যে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী এর সমালোচনা করছেন। মমতার বক্তব্য, যে রাজ্যগুলিতে সবে জিতে এসেছে কোনো দল, তারা কেন তাড়াহুড়ো করে ভোটে যাবে? এই বিষয়ে অবশ্য পাল্টা প্রস্তাব রেখেছেন মোদি। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওকে তিনি বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ কিংবা পাঞ্জাবের মতো যে রাজ্যগুলিতে সদ্য ভোট হয়েছে, তাদের এক বছর ‘গ্রেস’ দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ সেখানে এক বছর পরে বিধানসভার ভোট হতে পারে। কিন্তু আসামের নেতাদের বক্তব্য, ‘গ্রেস’ বা অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে কীসের ভিত্তিতে?
মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে মোদি যুক্তি দিয়েছেন, যে কোনো নতুন প্রস্তাব নিয়ে এগোতে গেলেই মতপার্থক্য হয়। শুরুতে ভয়, জড়তা থাকে। বাধা আসে। কিন্তু ভোট করাতে যে বিপুল অর্থ ব্যয়, তা থেকে দেশকে বাঁচাতেই একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করা উচিত। খরচ বাঁচাতে একসঙ্গে ভোট করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা যদিও অনেক দিন থেকেই চলছে। লালকৃষ্ণ আদভানি যখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনিই প্রথম এই প্রস্তাব দেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ