অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তৃণমূলে সতর্ক বার্তা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রের
আল হেলাল শুভ : জামায়াত-শিবিরসহ অনুপ্রবেশকারীদের দলে না টানতে তৃনমূল নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র। গতকাল শনিবার দলের বর্ধিত সভায় সারাদেশ থেকে আসা জেলার নেতারা এমন নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে ওই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জামায়াত-শিবিরসহ অনুপ্রবেশকারী কাউকে দলে না নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে তৃনমূলের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, পেশিশক্তি বৃদ্ধিতে অনেকেই জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতা-কর্মী ও সন্ত্রাসীদের দলে টেনেছেন। এরা এসে দলের ক্ষতি করে, খুন করে। দয়া করে দল ভারি করার জন্য এদের টানবেন না। মামলা থেকে বাঁচতে এবং উন্নয়ন প্রকল্পের ভাগিদার হতে অনুপ্রবেশকারীরা আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা এতটাই শক্তিশালী হয়ে যায় যে তাদের কুনুইয়ের গুতায় আমার নেতা-কর্মীরা টিকতে পারে না। কিছু মানুষ আছে যারা স্থায়ীভাবে ক্ষমতাসীন দলের লোক। এদের বিষয়েও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেন শেখ হাসিনা।
সভায় আগামী নির্বাচনের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা শুরু করতে তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এছাড়া নেতা-কর্মীদের সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতেও বলেন তিনি। সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে দলের নিজস্ব কার্যালয় স্থাপনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, নিজস্ব অফিস থাকা চাই। আপনারা উদ্যোগ নেন, আমরা সহযোগিতা করব। কার্যালয়গুলো সচল রেখে সরকারের উন্নয়নের প্রচার চালাতেও তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। সংসদ সদস্যদেরও জেলা নেতাদের সঙ্গে মিলে-মিশে কাজ করতে বলেন। সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিকল্পিতভাবে করার পরামর্শ দিয়ে দলীয় সভাপতি বলেন, এজন্য জেলা কমিটিকে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সাব-কমিটি করে দিতে হবে।
সংগঠনকে গতিশীল করতে সব জেলার নেতাকে বছর শেষে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি বৈঠকগুলোর রিপোর্ট দিতেও বলেন শেখ হাসিনা। তৃনমূলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক যাদের দেব তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের পক্ষে কাজ করতে হবে। কেউ অন্য কাউকে সমর্থন দেবেন না। সভায় জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করতেও দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ