ক্ষুব্ধ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপির গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়েছে!
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘটনা ঘটানোর মতো নথিপত্র রয়েছে কিনা ও এই সংক্রান্ত কোনো কর্মকা- হচ্ছে না কিনা এমন সন্দেহে পুলিশ শনিবার সকালে অভিযান চালালেও কিছু পায়নি। তবে কিছু না পেলে বিএনপি এটাকে অত্যন্ত নিন্দাজনক ও দুুঃখজনক বলে অভিহিত করেছে। বিএনপির নেতারা বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র থাকলে সরকারের নির্দেশে পুলিশ এটা করতে পারতো না। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদ্রোহ কর্মকা- করার ষড়যন্ত্র করছেন ও তার অফিসে নথিপত্র রয়েছে বলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা অনভিপ্রেত বলে মনে করছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব এটাকে বলেছেন, এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বিষয়টি ভালভাবে নেননি। তারেক রহমানও এটাকে নতুন ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের এই ধরনের একটি অভিযানকে খালেদা জিয়া মনে করছেন এটা তার বিরুদ্ধে নতুন কোনো ষড়যন্ত্র। আর সরকার নতুন কোনোকিছু করতে গিয়েই এই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। সরকার এটাকে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করবে ও গোটা জাতির সামনে বোঝানোর চেষ্টা করবে যে তার কার্যালয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকা- করার ষড়যন্ত্র করা হয় ও সেখানে নথিপত্রও থাকতে পারে। বিএনপি ভিশন ২০৩০ দেওয়ার পর খালেদা জিয়াকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে সরকার ও সরকারি দল থেকে।
বিএনপির একজন সিনয়র নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার ১২ মামলার কার্যক্রম আদালত স্থগিত করেছে। দুর্নীতির দুই মামলার বিচারক বদল করেছে। এই আদেশের পর এক সপ্তাহ পার হতে না হতে তার কার্যালয়ে অভিযান নতুন কোনো মামলা দেওয়ারও চেষ্টা ও পরিকল্পনা সরকারের থাকতে পারে বলে তারা মনে করছে।
তিনি বলেন, আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষা রয়েছি। এই সব অভিযান করে কোনো লাভ হবে না।
একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের অভিযানের বিষয়ে খালেদা জিয়ার নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ওই অফিসের যারা দায়িত্বে তারা আগেভাগে জানতে পারেননি। কেন তারা জানতে পারেননি ও এই ধরনের ঘটনা ঘটলো। তাছাড়া সার্চ ওয়ারেন্ট না দেখে কেন পুলিশকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হলো? এই সব বিষয় নিয়ে খালেদা জিয়া ক্ষুব্ধ। পুলিশের পক্ষ থেকে কারণ যদিও বলা হয়েছে আদালতের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার প্রশ্ন, তার সকল মামলা স্থগিত করেছে কোর্ট। তাহলে কোন ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে? তার বিরুদ্ধে কোনো মামলায় নতুন করে ওয়ারেন্টে হয়নি। আর আগের মামলার ওয়ারেন্ট হলে কেন সেটি দেখা হলো না। কেন এই ব্যাপারে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। তার অফিসে অভিযান চালানোর সুযোগ দেওয়া হলো?
বিএনপির সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ও তার অফিসে তল্লাশি চালানোর জন্য নতুন করে কোনো ওয়ারেন্ট হয়নি। এর আগে একবার নাশকতার মামলায় সার্চ ওয়ারেন্ট হয়েছিল কিন্তু তখন তো পুলিশ আসেনি ও কোনো অভিযান চালায়নি। এখন যখন মামলা স্থগিত তখন তারা এসেছে।
বিএনপির রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিপর্যস্ত করার জন্যই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।