উন্নয়ন জনগণের সামনে তুলে ধরুন, যেন আবার ভোট দেয়
আল হেলাল শুভ : দলের তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাধারণ মানুষের ভাগ্য যতদিন পরিবর্তন না হবে ততদিন আমাদের সংগ্রাম চলবে। আমাদের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে উন্নত জীবন দেয়া।গত আট বছরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- এমনভাবে জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরুন, যেন তারা (জনগণ) আমাদের প্রতি আস্থা রেখে আবার ভোট দেয়। গতকাল শনিবার সকালে গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের বর্ধিত সভায় সারা দেশের জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলে।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সকালে ওই সভা শুরু হয়। সভায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, নেতা হয়ে কী পেলাম কী পেলাম না, এটা ভাবা যাবে না। জাতিকে কী দিতে পারলাম সেটাই ভাবনার বিষয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বলে তারা তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিল, জাতীয় পার্টি বলে তারা এতদিন ক্ষমতায় ছিল। তারা ক্ষমতায় থাকার কথা বলে, তবে দেশ উন্নত হয়নি কেন? আওয়ামী লীগ যদি দেশের উন্নয়ন করতে পারে তারা পারেনি কেন? তাদের উদ্দেশ্য হলো লুটপাট করে খাওয়া আর সম্পদের পাহাড় গড়া। তা না হলে ভাঙা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি ছাড়া যাদের ঘরে কিছুই ছিল না, তারা কোটি কোটি টাকা ও বিশাল লঞ্চ বহরের মালিক হয় কিভাবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দলের তৃণমূল নেতাদের বলেন, ক্ষমতা ভোগের বস্তু না। ক্ষমতা হচ্ছে, দায়িত্ব পালন করার একটা সুযোগ। এই সুযোগটা আমরা পেয়েছি। জনগণের কল্যাণে প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি ঘণ্টা, প্রতিটি দিন, প্রতিটি মাস, প্রতিটি বছর জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। এর আগে, আমাদের কোনো বিশ্রাম নাই।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন,এরসঙ্গে যেই জড়িত থাক.. আমার দলের কেউ জড়িত থাকলেও তাকে ছাড়ব না। এই প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গি মরলেই খালেদা জিয়া আহা উহু করে..যোগাযোগটা কী বের করতে হবে।
সভায় বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলোতে একটি করে ল্যাপটপ বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেন শেখ হাসিনা। সভায় মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দফতর সম্পাদক, উপ-দফতর সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা-হুমায়ুন কবির খোকন