যশোরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে ৩ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়
এম এ আর মশিউর,যশোর : যশোরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে তিন শত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন এসব বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও পাঠদানে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোরের আট উপজেলায় তিন শত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। সদর উপজেলায় ৪৬টি, শার্শা উপজেলায় ২৬টি, মনিরামপুর উপজেলায় ৭২টি, বাঘারপাড়া উপজেলায় ৩৩টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২৫টি, চৌগাছা উপজেলায় ৩০টি, কেশবপুর উপজেলায় ৩৬টি ও অভয়নগর উপজেলায় ৩২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
এ সব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর, ঘোপসেনা, রঘুরামপুর, হাড়িয়াঘোপ, প্রতাপপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চলছে দুই থেকে তিনজন শিক্ষক দিয়ে। অথচ যেখানে প্রয়োজন পাঁচ থেকে ছয়জন শিক্ষকের।একাধিক শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রায়ই উপজেলা সদরে যেতে হয়। এ সময় একজন শিক্ষককে একসঙ্গে তিনটি শ্রেণিতে পড়াতে হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো পাঠদান দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে ব্যাহত হয় বিদ্যালয়ের গোটা শিক্ষা কার্যক্রম। এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী বলেন, সকল বিদ্যালয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম প্রধান শিক্ষক নিয়ন্ত্রণ করেন। এ কারণে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্টি হচ্ছে নানা সংকট। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান