লাকসামে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোয় পারাপার হচ্ছে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী
দেবব্রত পাল বাপ্পী, লাকসাম (কুমিল্লা): লাকসামে ডাকাতিয়া নদী মোহনা কার্জন খালটির উপর নির্মিত প্রায় ২শ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুল, মাদ্রাসার সাড়ে ৪ শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক মানুষলাকসাম পৌরশহর থেকে প্রায় ৬ কি. মি. পশ্চিমে ২নং মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়নে কালিয়াপুর বাজার,কালিয়াপুর কামিল মাদ্রাসা ও ডাকাতিয়া নদী সংযোগ কার্জন খালের ব্রিজ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
ব্রিজটি নির্মিত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে অন্যদিকে পাল্টে যাবে শ্রীয়াং দক্ষিণ বিলপাড়া, রাজাপুর, নোয়াপাড়া, জগৎপুর, উত্তর বড়কেশতলাসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের ভাগ্যে এবং এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা-বানিজ্যের প্রসার। এছাড়া নদীর দু’ধারে ভাঙ্গানের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলে যানবাহন এতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশোর সাঁকো পার হচ্ছে। এ সময় ইয়াছিন আলম, সাজেদা আক্তার, আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় তাদের বই-খাতা ও কলম পানিতে পড়ে যায় এবং দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
শ্রীয়াং গ্রামের প্রবাসী আমিনুল ইসলামের স্ত্রী আফরোজা বেগম বলেন আমার ছেলে ১ম শ্রেণি পড়–য়া সাদমান সাকিব রাহাত গত ৮ দিন আগে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় দিতে গিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার সময় বাঁশের কঞ্চি ভেঙ্গে পা ফসকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়। তাহার বাম পায়ের আহত হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে আমার ছেলে ২ বিষয় পরীক্ষা দিতে পারে নাই। সম্পাদনা মুরাদ হাসান