চার প্রেমিকের প্রতিহিংসার বলি রাজনগরে কলেজছাত্রী শাম্মী, আসামিরা কারাগারে
স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শাম্মী বেগম চার প্রেমিকের প্রতিহিংসার বলি হয়ে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। ঘাতক চার প্রেমিক পরিকল্পিতভাবে জঙ্গলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী ও হত্যায় অংশ নেয়া চার প্রেমিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন গত বুধবার সন্ধ্যায় ঘাতক চার প্রেমিক হত্যার মূল পরিকল্পনা করে বলে পুলিশ ও আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত সোমবার (২২ মে) ঘাতকদের কারাগারের প্রেরণের নির্দেশ দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের কাছাড়ী করিমপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শাম্মী বেগমের সাথে (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই এলাকার গনি মিয়ার ছেলে আলকুম মিয়ার (২৩)। এরপর ওই এলাকার তমজির আলীর ছেলে বরকত হোসেন সুমন (ওরফে বক্কর) (২৫), মকবুর মিয়ার ছেলে মো. দিপু মিয়ার (২৫) সাথে এবং সর্বশেষ মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সুনাটিকি গ্রামের ছকা মিয়ার ছেলে মাজহার মিয়ার (২৫) সঙ্গেও প্রেমের জালে জড়িয়ে পড়েন শাম্মী বেগম। একাধিক প্রেমে জড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ হন প্রথম প্রেমিক আকলুম মিয়া। এনিয়ে আলকুম মিয়ার সঙ্গে শাম্মী বেগমের কয়েক বার কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে ফোনে আলকুম মিয়া তাকে হত্যার হুমকিও দেয়। পুলিশ জানায়, নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন গত বুধবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে ওই ৪ জন ঘাতক প্রেমিক কাছাড়ি এলাকায় বসে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার পরিকল্পনা আসে মাজহারের কাছ থেকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বরকত হোসেন সুমন দুপুরে তাদের বাড়িতে গিয়ে একবার দেখে আসে।
দিপু ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শাম্মী বেগমের বাড়িতে গিয়ে ওর মায়ের সঙ্গে গল্প করতে থাকে। রাত সাড়ে ৮ টার সময় শাম্মী বেগমের মোবাইল ফোনে একটি মিস্ডকল আসে। এরপর সে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান