বাজেটে প্রতিবন্ধীদের জন্য ৭০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি
হাসান আরিফ : আগামী ২০১৭-১৮ সালের বাজেটে প্রতিবন্ধীদের জন্য ৬ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম। তবে এ বরাদ্দ শুধু সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নয়, মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বাজেট বরাদ্দের দাবি করেছে সংগঠনটি।
গতকাল বিকালে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, মুন্নু জান সুফিয়ান এমপি, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি মো. রজব আলী খান নজিব ও সাধারণ সম্পাদক ড. সেলিনা আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে লিখিত প্রস্তাবনায় বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বরাদ্দ দেওয়াসহ যেসব দাবি করা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে, সরকারি চাকরির কোটা নিশ্চিতকরণ ও বেসরকারি চাকরিদাতাদের কর রেয়াত সুবিধা প্রদান, কর্মীজীবি হোস্টেলে কোটা সংরক্ষণ, বিভাগী শহরে রিসোর্স সেন্টার স্থাপন, কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, ফস্টার ফ্যামিলি কেয়ার, বাংলা ইশারা ভাষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, বাস ও রেলে বিশেষ কোটা সংরক্ষণসহ প্রতিবন্ধীদের ভাতা বাড়ানো।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাফিউল আলম বলেন, প্রতিবন্ধী মেয়েদের জন্য সাতটি বিভাগে সাতটি সমন্বিত বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। আর প্রতিবন্ধীরা নিজেরাও যাতে নিজেদের উপর ভর করে স্বাবলম্বী হতে পারে, সেজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আপাতত কিছু বিআরটিসির বাসে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। কিছু অর্থ লাগবে, তবে এককালীন। রেলেও কোটা সংরক্ষণ করা যেতে পারে, রেল মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থা করা যায়। তবে এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটা নির্দেশনা আসতে হবে। কর্মজীবি হোটেলগুলোতে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। ব্যাংকগুলোতে ঋণের আলাদা প্রতিবন্ধী কোটা প্রদানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা বিবেচনা করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভাগীয় শহরে রিসোর্স সেন্টারের ব্যবস্থা করা হতে পারে। তিনি নিজেও এটা ভাবছেন। আর প্রতিবন্ধী শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা বাজেট রাখার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। হাসপাতালগুলোতে একটি ওয়ার্ডকে প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া যেতে পারে বলেও তিনি বলেন।