জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা নিয়ে করা রিট নিষ্পত্তি করে দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে ৪৬ পৃষ্টার এ পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ পর্যবেক্ষণসহ এই রায়টি ঘোষণা করেন। গতবছরের ২৮ আগষ্ট এ রিটটির শুনানী শেষে রায়ের জন্যে সিএভি (অপেক্ষমান) রাখেন।
এ মামলায় শুনানিকালে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দিয়েছেন সাতজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তারা হলেন ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন হাসান এম এস আজিম। এ সময় রিটকারী আইনজীবী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
২০১৬ সালের ১০ মে রুল শুনানি শুরু হয়ে ২৮ আগস্ট শুনানী শেষ হয়। ওই দিনই শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত। রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ থাকা দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর রায় ঘোষনা করা হয়। বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা আনতে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা রচয়ে ২০১০ সালের ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী এ রিট দায়ের করেন।
২০১০ সালের ৬ জুন বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে রিট মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে যায়। ওই বেঞ্চ ৭ জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন। ২০১২ সালে ৫ আগষ্ট আইন কমিশন বিচারক নিয়োগে সুপারিশ পাঠায় আইন মন্ত্রনালয়ে। সুপারিশে বলা হয়, সংবিধানে কিছু সুনিদিষ্ট শর্তাবলী উল্লেক ছাড়াও আইনের ধারা শর্তাবলী নির্ধারনের (৯৫/২/গ) ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু গত ৪০ বছরেও এ উপ-অনুচ্ছেদে কোন আইন প্রনয়ন করা হয়নি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ