তরিকুল ইসলাম সুমন : প্রচ- তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ। এর থেকে বাদ যাচ্ছে না প্রাণীকূলও। প্রাণীদের অন্যতম মিলনমেলা ও দেশের শিক্ষামূলক অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে ঢাকা চিড়িয়াখানা ব্যাপক পরিচিত। বর্তমানে এ বিনোদনকেন্দ্রে পশু পাখি মিলে সংখ্যা ২ হাজার প্রাণী। এদের তাপদাহ থেকে রক্ষায় অতিরিক্ত সতর্কতায় রয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এসএম নজরুল ইসলাম এই প্রবিদেককে জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা হতে পারে। এ সময়ে বেশি আক্রান্ত হয় মাংসাশী প্রাণী। পাখিদের মধ্যেও নানা সমস্যা দেখা দেয়। চিড়িয়াখানার প্রাণীদের এ দাবদাহ থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি শেডে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ভিজা চট দিয়ে বেড়া দেওয়া, ওষুধ, স্যালাইন ও ভিটামিট সরবরাহ। যেসব প্রাণীর ঘরে বালি দেওয়া হয়েছে সেসব ঘরের বালি শুকিয়ে গেলে তা আবার ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বড় প্রাণীর ঘরে প্রয়োজনে ঠা-া পানিও দেওয়া হচ্ছে। যতটা সম্ভব আর্দ্র খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও বৃহৎ মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রাণীদের খাঁচায় (পানির হাউজে) পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাখা হচ্ছে নজরদারিতে।
তিনি আরো বলেন, তাপ বৃদ্ধি পেলে লোমশ প্রাণীদের দেহ থেকে তাপ বের হতে পারে না। ফলে হিট স্ট্রোক, পানি শূন্যতা, বমি, পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। এজন্য প্রত্যেক জু-অফিসারকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরের হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। চিকিৎসার জন্য ডাক্তাদেরও সতর্ক রাখা হয়েছে।
ঢাকা চিড়িয়াখানার প্রাণী ও পুষ্টি কর্মকর্তা আবু সাইদ মো. কামাল বাচ্চু জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও প্রাণীদের দিকে আলাদা নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় নতুন নতুন খাবার ও ভিটামিন দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে কোনো প্রাণীর দেহে পানিশূন্যতা তৈরি না হয়। তৃণভোজী এবং মাংসাশী প্রাণীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সতর্ক রয়েছেন কর্মকর্তারা। সম্পাদনা : জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না