শাকিল আহমেদ : রমজান মাসের জন্য মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তার ঘোষিত দাম অনুযায়ী বিক্রেতাদের দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৭৫ টাকা, ভারতীয় গরুর মাংস ৪৪০ টাকা, খাসির মাংস ৭২৫ টাকা, বকরি ও ভেড়ার মাংস ৬২০ টাকা এবং মহিষের মাংস ৪৪০ টাকায় বিক্রি করতে হবে। কেউ বেশি দামে বিক্রি করলেই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। গতকাল নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন মহানগরীর বিভিন্ন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করে এ মূল্য নির্ধারণ করেন। শুধু কাঁচাবাজারের মাংসের দোকান নয়, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ মাংস বিক্রি করে এমন সব দোকানের জন্যই এ দাম প্রযোজ্য হবে।
মতবিনিময়ে প্রথম রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত এই দর মেনে চলার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন মেয়র। দাম তদারকি করতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি এবং কর্পোরেশনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। এ কমিটি বাজার দর যাচাই-বাছাই করবে এবং কেউ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে মাংস বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মেয়র।
সাঈদ খোকন বলেন, রমজানের পবিত্রতা রক্ষাসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য রেস্টুরেন্ট, ফল, ক্লাব, বার, ইমাম সমাজের সাথে ইতোমধ্যেই মতবিনিময় করেছেন। এসময় মুসল্লিদের খেদমতে একটু কম লাভে সঠিক ওজনে ভালো মানের মাংস বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
মাংস ব্যবসায়ীরা একটি স্থায়ী পশুর হাটের দাবিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরলে মেয়র তাদের জন্য একটি স্থায়ী পশু হাটের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। এসময় মেয়রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মাংস ব্যবসায়ীরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।
মাংস ব্যাবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল অভিযোগ করে বলেন, গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদারদের অত্যাচারের কারণে তারা ব্যবসা করতে পারছেন না। সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের অভিযোগ জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আসার পর থেকে সেখানে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধ হলে ঢাকার মানুষকে ৩০০ টাকা কেজিতে মাংস খাওয়ানো যাবে বলেও তিনি দাবি করেন। সম্পাদনা : হাসান আরিফ