ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৪ জন জেলে মিয়ানমারের আকিয়াব জেলখালায় মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন- টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী গ্রামের বাচা মিয়া ও মৃত আছিমা খাতুনের পুত্র মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন (৪২), বালুখালী গ্রামের মো. ইসলাম ও নুর জাহানের পুত্র ছৈয়দ হোসেন (৩৭), উত্তরপাড়া নাজির হোসেন ও হালিমা খাতুনের পুত্র আবু বক্কর (২৩), উত্তরপাড়া আবদুল মোনাফ ও মাহমুদা খাতুনের পুত্র মোহাম্মদ রশিদ মিয়া (২৫)। মিয়ানমার কারাগারে বন্দী বাংলাদেশি ৪ জন জেলেকে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাঁদের অভিভাবক আব্দুল আলিম, জাগির হোসেন, নাজির হোছন, আব্দুল মোনাফ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সর্বশেষ অভিভাবকরা অপহৃত জেলেদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২২ মে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবেদন দাখিল করেছেন। আবেদনের সত্যতা বিষয়ে ¯’ানীয় ওয়ার্ড মেম্বার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান সুপারিশ করেছেন।
অপহৃত জেলেদের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বছরের পর বছর ধরে উপার্জনাক্ষম ব্যক্তি কারাগারে আটক থাকায় পরিবার-পরিজন চরমভাবে অর্থ ও মানসিক কষ্টে ভুগছেন। তারা আরও জানান টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী গ্রামের বাচা মিয়া ও মৃত আছিমা খাতুনের পুত্র মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন নাফ নদীতে মাছ ধরতে গেলে ১৪ বছর পূর্বে ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের তৎকালীন নাসাকা বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়।
দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে মিয়ানমার আকিয়াব জেলে বন্ধী রয়েছে। তাঁর হাজতি নং-০০৩৩২। বালুখালী গ্রামের মো. ইসলাম ও নুর জাহানের পুত্র ছৈয়দ হোসেন ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর নাফ নদীতে মাছ ধরতে গেলে মিয়ানমারের বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। তার হাজতি নং-০০৪৩০। উত্তরপাড়া নাজির হোসেন ও হালিমা খাতুনের পুত্র আবু বক্কর নাফ নদীতে মাছ ধরতে গেলে ২০১৪ সালের ৯ আগস্ট মিয়ানমারের বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। তিনি মিয়ানমার আকিয়াব জেলে বন্ধী রয়েছে।
তাঁর হাজতী নং-০০৭৮৯। উত্তরপাড়া আবদুল মোনাফ ও মাহমুদা খাতুনের পুত্র মোহাম্মদ রশিদ মিয়াকে নাফ নদীতে মাছ শিকাররত অবস্থায় মিয়ানমার বাহিনী ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ধরে নিয়ে গিয়েছিল। লিখিত আবেদনে আবেদনকারীগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, আকিয়াব জেলে বন্ধীদের জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি, বাংলাদেশী জাতীয়তা সনদের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং প্রথমোক্ত ৩ জনের ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। সম্পদনা: মুরাদ হাসান