খেলাফত হোসেন খসরু,পিরোজপুর : চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় পিরোজপুরে সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী ও মো. রুহুল আমিন এবং প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ আব্দুর রহমান।
গতকাল বুধবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় সোনালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে কর্মরত দুদুকের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান- ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর দুদুকের দায়ের করা একটি দুর্নীতি দমন মামলার আসামি এই তিন কর্মকর্তা। পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রারের অফিসের সহকারী ও মুদ্রাক্ষরিক অঞ্জন কুমার দাসের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দুদুক সোনালী ব্যাংকের এই তিন কর্মকর্তাসহ মোট ছয় ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজসের প্রমাণ পায়। অপর তিন কর্মকর্তারা হলেন- প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ফুয়াদ উদ্দিন এবং সিনিয়র অফিসার সুখেন্দু বিকাশ ও মো. নুরুল ইসলাম। মূল আসামি অঞ্জন কুমার ২০০৪ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রারদের স্বাক্ষর জাল ও প্রতারণা করে শতাধিক চেকের মাধ্যমে ৫৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৯৬ টাকা সোনালী ব্যাংক পিরোজপুর শাখা থেকে তুলে নেয়। এই ঘটনা ধরা পড়ার পর তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার মো. শফিকুর রহমান অফিস সহকারী অঞ্জনের বিরুদ্ধে পিরোজপুর থানায় ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর প্রতারনা ও ২৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় অঞ্জন কুমার দাসকে দুদক গ্রেফতার করলে বর্তমানে তিনি আদালতের আদেশে জামিনে আছেন। দীর্ঘ তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গতকাল দুদকের টিম সোনালী ব্যাংকে অভিযান চালিয়ে তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার গ্রেফতার করা হয়। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান