া আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মালেক
কুরআনে শূকরের গোশত সম্পর্কে বলা হয়েছে, (হে নবী আপনি) বলুন, আমার নিকট যে অহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর ওপর কোনো হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি ম”ত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের গোশত হয়- কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র। (সূরা আনআম, আয়াত ১৪৫)
অথচ বিশ্বজুড়ে শূকরের গোশত বিভিন্ন জাতির প্রিয় খাবার । এতে অনেকেই কোরআনে হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণার কথা শুনে বিস্মিত হয়ে থাকেন । অথচ শূকর হারাম আল্লাহ এ জন্যে করেন নি যে, সুস্বাদু একটি খাবার থেকে মুসলিমদের বঞ্চিত করবেন । বরং এটা যে মানুষের খাবার যোগ্য নয়, এটাই হলো তার মূল কারণ । কেননা, এর মধ্যে এমন সব রোগ-জীবাণু লুকিয়ে থাকে, যা মানুষকে কখনো কখনো ম”ত্যুর ঘাট পর্যন্ত র্পৌছে দেয়। আধুনিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসা শাস্ত্র তা প্রমাণ করেছে। বলেছে, প্রাণীকূলের মধ্যে শূকর রোগ-জীবাণুর অন্যতম আধার। শূকরের মাংসের মাধ্যমে যেসব রোগের বিস্তার ঘটে সেতা হলো,এক নম্বরে হলো রিং ওয়ার্ম, এটি এমন একটি কৃমি, যা মানব দেহের জন্য সবচে তিকারক। শূকরের গোশত বলতেই এর উপ¯ি’তি অপরিহার্য। এ কৃমি শূকরের গোশত আহারকারীর মাংসপেশীতে প্রবিষ্ট হয়ে তীব্র ব্যথার স”ষ্টি করে এমনকি এর স্পন্দন থামিয়ে দেয়। এটি রোগ প্রতিরোধ সেলেও বাসা বাঁধে। তাতে অনেক সময় শ্বাস বন্ধ করে দেয়। ঠেলে দেয় ম”ত্যুর মতো চূড়ান্ত পরিণতির দিকে। এর ফলে ফিতাকৃমিও হয়, যা প্রায় দশ কদম পর্যন্ত লম্বা হয়। এর ফলে হজম প্রক্রিয়া বা পরিপাক যন্ত্রে বিশ”ড়খলা দেখা দেয়। রক্তস্বল্পতা প্রকাশ পায়। তাছাড়া তা ভণকারীর মগজ, যকৃৎ, ফুসফুস ও অ¯ি’মজ্জাকে তিগ্রস্ত করে নানা উপায়ে।
এ ছাড়া যক্ষ্মা, কলেরা, টাইফয়েড, প্যারা টাইফয়েড ও ম্যালেরিয়া জ্বর ইত্যাদির মতো ব্যাকটরিয়াজা রোগ হয়ে থাকে এবং মস্তিষ্কে প্রদাহ, হৃদযন্ত্রে ব্যথা, ইনফুয়েঞ্জা এবং মুখ ফাটার প্রদাহ ইত্যাদির মতো ভাইরাসবাহী রোগসমূহ আক্রমণ করার সমূহ সম্ভাবনা থাকে । উপরš’ শ্রবণ ও দ”ষ্টিশক্তি হারানোর রোগও স”ষ্টি হয়।
শূকরের গোশত ও চর্বির বায়োলজিক্যাল গঠনজনিত কারণে রক্তে ফলিক অ্যাসিডের হার ব”দ্ধি পায় । কেননা, শূকরের গোশতে অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় অধিক মাত্রায় চর্বির উপস্থিতি রয়েছে। সুতরাং কেবল মুসলমানের জন্যে নয়, মানুষ মাত্রই শূকরের গোশত বর্জন করা উচিত ।