সাভারে গৃহবধূকে মাইক্রোবাসে তুলে ধর্ষণ
মতিউর রহমান, সাভার : বাসায় নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে এক গৃহবধূকে মাইক্রোবাসে তুলে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জ থেকে সাভারে ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) অ্যান্ড হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। সাভার মডেল থানার এসআই জিল্লুর রহমান এই তথ্য জানান। গৃহবধূর স্বজনরা জানান, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ মানিকগঞ্জ এলাকায় তার স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন। তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ আশুলিয়ার ডেন্ডবর এলাকায় জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ কাজ করছিলেন। পাশাপাশি তাড়া স্বপরিবারে আশুলিয়া তেই বসবাস করতেন। এদিকে মানিকগঞ্জ অবস্থানরত সময় স্থানীয় একটি দোকানির কাছে কিছু টাকা দেনা ছিলেন ওই গৃহবধূ। মঙ্গলবার ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মানিকগঞ্জের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন তিনি। দোকানির ঋণ পরিশোধ করে আশুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিতে চাইলে দোকানি তাকে তার পরিচিত একটি মাইক্রোবাসে বাসায় নামিয়ে দিবেন বলে ধর্ষিতাকে প্রস্তাব দেয়। তাকে নিয়ে মাইক্রোবাটি সাভারের আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাসটি মানিকগঞ্জ থেকে গোলোরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পোঁছালে ওই দাকানির আরও দুই পরিচিত লোক মাইক্রোবাসে ওঠে। তখন রাত আনুমানিক সাড়ে সাতটা। এরপর আবার বাসটি আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিছুক্ষণ পর গৃহবধূর হাত ও মুখ বেঁধে চলন্ত মাইক্রোবাসে তারা ধর্ষণ করে। রাত ১১টার দিকে সাভারের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) পাশের একটি জঙ্গলে ওই গৃহবধূকে ফেলে চলে যায় তারা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টহলে থাকা পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। গৃহবধূর স্বামী জানান, তিনি পেশায় গাড়িচালক। ঘটনার রাতে আমি আমার কজে ঢাকার বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে আমি ঢাকায় চলে আসি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার এসআই জিল্লুর রহমান বলেন, ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এছাড়া এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও তিনি জানায়। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান