জাফর আহমদ : যে হারে মজুরি বাড়ে জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়ে তার চেয়ে বেশি হারে। মজুরি বৃদ্ধির পর আরেকবার নতুন মজুরি ঘোষণা হতে হতে শ্রমিকদের প্রাপ্ত মজুরির আর্থিক মূল্য আগের চেয়ে কমে যায়। ফলে জীবন নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে শুধু মজুরি নয়, বাজেটে আবাসন ও রেশনিংয়ের জন্য বরাদ্দ দিয়ে শ্রমিকদের বাড়তি খরচের হাত থেকে বাঁতাতে হবে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতারা।
গার্মেন্ট শ্রমিক জালাল বলেন, ২০১৩ সালের মজুরি বৃদ্ধির পর ছয় মাস সুফল পাওয়া গেছে। তারপর কারখানা থেকে পাওয়া মজুরি দিয়ে আর সংসার চলে না। অবস্থা আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়। এর মধ্যে বাড়ী ভাড়া বৃদ্ধি পায়, বৃদ্ধি সব ধরনের খরচ। এতে সংসারের চিন্তা করতে হয়, কাজে মন বসেনা। কখনো কখনো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়না। বেশি ও ভাল উৎপাদন পেতে হলে সংসারের চিন্তামুক্ত হয়ে কাজ করতে দিতে হবে। এ বিষয়ে শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শুধুু মজুরি বৃদ্ধি করে শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করা যাবে না। যে হারে মজুরি বাড়ে তার চেয়ে বেশি হারে মুল্যস্ফীতি হয়। ফলে বেতন বাড়িয়ে শ্রমিকদের অভার দূর হয় না। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের কল্যানের কথা চিন্তা করলে তাদের রেশনিংয়ের মাধ্যমে জন্য চাল-ডাল-তেলের মত নিত্যপণ্য বিতরণ করতে হবে।