ডেস্ক রিপোর্ট : পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবান এর মুখপাত্র মুসলিম খানের ফাঁসির আদেশ স্থগিত করার আদেশ দিয়েছেন পেশোয়ার উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে, পাকিস্তানের সামরিক আদালত গত বছর তাকে সন্ত্রাসবাদ আইনের আওতায় ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন। ডন
এ ব্যাপারে, মুসলিম খানের আইনজীবী তারিক আসাদ জানান, মুসলিমকে ২০০৯ সালে নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতার করে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল তা জানায়নি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তার পরিবার ২০১৬ সালে সংবাদপত্রের মাধ্যমে তার দ-াদেশ সম্পর্কে জানতে পারে। এদিকে, মুসলিমের বিরুদ্ধে বিচার কাজ পরিচালনার কোনো নথিপত্র তার পরিবারের কাছে নেই। এমনকি কিসের জন্য তাতে ফাঁসির দ-াদেশ দেওয়া হলো তাও এখনও অজানা। তারা সামরিক আদালতে আপিলের জন্য আবেদন করলেও কোনো সাড়া মিলেনি। তারিক জানান, সামরিক আদালতের বিচার প্রক্রিয়া ছিল শুধু এক পক্ষের। এখানে কোনো সুবিচার হয়নি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুসলিম খানের বিরুদ্ধে দ-াদেশের ঘোষণা দেয়। তাদের অভিযোগ মুসলিম নিরাপরাধ বেসামরিক মানুষদের হত্যা করেছে এবং সশস্ত্র বাহিনী ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থায় আক্রমণ করেছেন। এর ফলে ৩১ জন নিহত হয় এবং ৬৯ জন আহত হয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ