কিরণ সেখ: খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দীন মিঠু ও দেহরক্ষী নওশের গাজী নিহত এবং মিঠুর শ্বশুর সৈয়দ সেলিম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ফুলতলা উপজেলা সদরের দামোদরে মিঠুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স মিঠু এন্টারপ্রাইজে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এদিকে মিঠু হত্যার প্রতিবাদে আজ শনিবার খুলনায় অর্ধদিবস হরতালসহ চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নগর ও জেলা বিএনপি। গতকাল শুক্রবার খুলনার কে.ডি.ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিকুল আলম মনা। এসময় দলটির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সরদার আলাউদ্দিন মিঠু, তার শ্বশুর সৈয়দ সেলিম ও দেহরক্ষী নওশের গাজীসহ কয়েকজন বসেছিলেন। এ সময় ৩/৪জন সন্ত্রাসী মিঠুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে সরাসরি তার মাথায় গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার শ্বশুর সৈয়দ সেলিম ও নওশের গাজী গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থান তারা মারা যান।
এর আগে ১৯৯৮ সালে নিহত মিঠুর বাবা দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আবুল কাশেম ও ২০১০ সালে তার বড় ভাই একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদল দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।
এদিকে মিঠু হত্যাকান্ডে আওয়ামী লীগকে দায়ি করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। গতকাল এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ইতিপূর্বে তাকে কয়েকবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তার পিতা ও বড়ভাইকেও হত্যা করা হয়। সম্পাদনা: মেসবাহ উল্লাহ শিমুল