যীশু মানুষ নাকি ঈশ্বর?
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক
যীশু সুস্পষ্টভাবেই ঈশ্বর। তিনি তাঁর প্রতিমূর্তি মানুষ অর্থাৎ আদম ও হবাকে সৃষ্টি করেছিলেন। তিনিই জগতের সৃষ্টিকর্তা। বাইবেলে উল্লেখ আছে, ‘তিনি আদিতে ঈশ্বরের কাছে ছিলেন। সকলই তাঁহার দ্বারা হইয়াছিল, যাহা হইয়াছে, তাঁহার কিছুই তাঁহা ব্যতিরেকে হয় নাই’(যোহন ১:২-৩)। কলসীয় পুস্তকের ১:১৫-১৬ পদে বলা আছে,‘ইনিই অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি, সমূদয় সৃস্টির প্রথমজাত; কেননা তাঁহাতেই সকলেই সৃষ্টি হইয়াছে’। বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই যে ঈশ্বর যীশুকে সৃষ্টি করেছেন। বরং যীশুই ঈশ্বর এবং সর্বদা বিরাজমান। যীশু শুধু বাক্যেই নয় কাজে মাধ্যমে প্রমান করেছেন তিনিই ঈশ্বর। তাঁর ছিল ঈশ্বরীয় অলৌকিক ক্ষমতা। তিনি মৃতকে জীবিত করেছেন যা একমাত্র ঈশ্বরই পারে।
যীশু ঈশ্বর হলে তাঁকে মানুষ বলা হয় কেন?
যীশু সুস্পষ্টভাবেই মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিলেন। তিনি মানুষরূপে ঈশ্বর হয়েও আমাদের মতো প্রলোভনের স্বিকার হয়েছেন(ইব্রিয় ২:১৮)। তিনিও শারীরিক ও মানুষিক যন্ত্রনা ভোগ করেছেন। তিনিও কান্না করেছেন যেমন আমরা করি(যোহন ১১:৩৫)। তিনিও অবহেলিত ও ঘৃনিত হয়েছেন যদিও তাঁর কোন ভুল ছিলনা (পিতর ২:২৩)।
তাহলে যীশুর সাথে মানুষের পার্থক্য কী?
যীশু ও মানুষের সাথে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। মানুষ পাপী কিন্তু যীশু নিষ্পাপ ছিলেন। তিনি কোন পাপ করেননি। যতোই প্রলোভন আসুক যীশু সেসব প্রত্যাখান করেছেন।
তিনি কি পারতেন না ক্রুশীয় যন্ত্রনা থেকে বাঁচতে?
তাঁর যে কোনো সময়ে তাদের নির্যাতন ও বিদ্রুপাত্মক বন্ধ করার ক্ষমতা ছিল। তবুও সে নিজের আত্মরক্ষা না করে একটি নিখুঁত , নির্দোষ মেষের মত মানুষের পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য ক্রুশে জীবন দিলেন। ‘তিনি পাপ করেন নাই, তাঁহার মুখে কোন ছলও পাওয়া যায় নাই’। তিনি নিন্দিত হইলে প্রতিনিন্দা করিতেন না; দুঃখভোগ কালে তর্জ্জন করিতেন না, কিন্তু যিন ন্যায় অনুসারে বিচার করেন, তাঁহার উপর ভার রাথতেন। তিনি আমাদের ‘পাপভার তুলিয়া লইয়া’ আপনি নিজ দেহে কাষ্ঠের উপর বহন করিলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মরিয়া ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; ‘তাঁহার ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্য প্রাপ্ত হইয়াছ’।
সূত্র: সানডে বিডি