ইমরুল শাহেদ : জম্মু–-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দু’টি অনুপ্রবেশের ছক বানচাল করে মোট ৮ জনকে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। নিহতদের মধ্যে রয়েছে হিজবুল কম্যান্ডার সাবজার আহমেদ ভাট। এর আগে রাজ্যটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর থেকে শুক্রবার রাতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। কিন্তুহিজবুল কম্যান্ডার সাবজার আহমেদ ভাটের মৃত্যুর পর নতুনভাবে আবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন সম্ভাবনা থেকে পুনরায় সেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়েছে। আজকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার বিরোধী বিক্ষোভের জেরে গত ২৬ এপ্রিল ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, কিউকিউ, উইচ্যাট, ওজোন, টাম্বলার, গুগল প্লাস, বৈদু, স্কাইপ, ভাইবার, লাইন, স্ন্যাপচ্যাট, পিন্টারেস্ট, টেলিগ্রাম, রেডইট, স্ন্যাপফিশ, ইউটিউব (আপলোড), ভাইন, জ্যাঙগা এবং ফ্লিকার সহ মোট ২২টি সামাজিক যোগাযোগের সাইট নিষিদ্ধ করা হয়। তার একমাস পর, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই বিপত্তি বাঁধে। সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভাটের মুত্যু হয়েছে বলে শনিবার সকালে ঘোষণা করেন জম্মু–-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এসপি ভৈদ। তারপরই পুলোয়ামা, খানাবল এবং অনন্তনাগের বিভিন্ন জায়গায় সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার সংঘর্ষের শুরুতে বারামুলা জেলার রামপুর সেক্টরে মোট ৬ জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করেছে সেনারা। পুলওয়ামা জেলার ত্রাল সেক্টরের সাইমুতে শুক্রবার রাত থেকে চলা সংঘর্ষ শেষে শনিবার সকালে নিহত হয় ভাট। সেনারা নর্দার্ন কমান্ড সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। সেনাদের মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া জানিয়েছেন দু‘’টি জায়গাতেই চলছে চিরুনি তল্লাশি।
আজকাল জানিয়েছে, এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ত্রালের সাইমুতে টহলরত ভারতের ৪২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস বাহিনীর উপর জঙ্গিরা হামলা করে। পাল্টা জবাব দেয় সেনারাও। শুরু ুহয় সংঘর্ষ। জঙ্গিরা সংলগ্ন গ্রাম সাইমুতে আশ্রয় নিলেও তাদের কোণঠাসা করে ফেলে সেনারা। তারপর রাত থেকেই চলতে থাকে সংঘর্ষ। অবশেষে শনিবার সকালে ভাট-সহ এক জঙ্গি নিহত হয়। সেনারা জানিয়েছে, শেষ সময়ে বাড়িতে ফোন করে ভাট বলেছিল, তাদের কোণঠাসা করে ফেলেছে সেনাবাহিনী। যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিতে।