কামরুল আহসান : জি সেভেন সম্মেলনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আহ্বান জানালেন বিশ্বনেতারা। শুক্রবার তারা এ সিদ্ধান্তে আসেন যে, সম্প্রতি জিহাদীরা অনেকে মাঠ ছেড়ে সাইবার জগতে চলে এসেছে এবং সাইবার আক্রমণসহ জিহাদী প্রচারণা চালাচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা নতুন সন্ত্রাসী তৈরি করছে। সুতরাং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে বিশ্বনেতারা অনুরোধ জানিয়েছেন, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন তাদের প্রত্যেকেরই উচিত সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা চালানোর জন্য এবং ইন্টারনেট যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদেরও উচিত এ বিষয়ে আরো অধিক সাবধান থাকা, যেন সন্ত্রাসীরা কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকা- ইন্টারনেটের মাধ্যমে না ছড়াতে পারে।
সম্মেলনে ব্রিটিম প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানিয়েছেন, আইএস এখন যুদ্ধক্ষেত্রের চেয়ে সাইবার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বেশি। তারা এখন শুরু সিরিয়ায় নেই। বরং ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। আর ইন্টারটের মাধ্যমে তারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে।
গত সপ্তাহেই ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার সিটিতে এক আত্মঘাতি সন্ত্রাসী বোমা হামলায় ২২ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে আছে অনেক শিশুও। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্মেলনে থেরেসা মে’র প্রতি বিশ্বনেতারা সংহতি ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করেন। জি-৭ সম্মেলনে আগ মুহূর্তে এমন একটি ঘটনা তাদের সবাইকে থমকে দিয়েছে। এবারের সম্মেলনে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। সাইবার হামলা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিহাদী প্রচারণাকে তারা চিহ্নিত করছেন ‘ডিজিটাল জিহাদ’ বলে। বিশ্বনেতারা আশঙ্কা করছেন সামনের দিনগুলোতে ডিজিটাল জিহাদ আরো ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হবে। তাই তারা এখন থেকেই এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে চান। যদিও এই ইস্যু অনেক পুরাতন। আইএস তাদের জন্মের শুরু থেকেই ইন্টানেট ব্যবহার করে আসছে। তবে যতোই তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামা হচ্ছে ততোই তারা ইন্টারেনেটে আশ্রয় নিচ্ছে। এখন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধটা শুধুমাত্র আর কোনো রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান বা নিরাপত্তাকর্মীদের থাকছে না, বরং প্রতিটা সচেতন মানুষের কর্তব্য হয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। সে জন্যই বিশ্বনেতারা সমস্ত জনগণকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার আহবান জানিয়েছেন। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে জানানো হয়েছে তারা সম্প্রতি ৩ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। শুধুমাত্র ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর বিপক্ষে লড়াই করার জন্য তারা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ফ্রান্স ২৪