এস এম নূর মোহাম্মদ : ভাস্কর্য প্রতিস্থাপনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। মূলত বিষয়টি নিয়ে আবারও কোনো সমালোচনায় পড়তে চাচ্ছে না তারা। এজন্য এবার ভেবেচিন্তে প্রতিস্থাপন করতে চায় ভাস্কর্যটি। অবশ্য এবার রমজান মাস হওয়ায় ইসলামপন্থিরা এটাকে আবারও ইস্যু বানাতে পারে সে আশঙ্কা থেকেই এবার সময় নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে সারাদেশে। সরগরম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও। সে জন্য এবার সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে চায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। কেন না এবার প্রতিস্থাপন করা হলে ফের সরাতে হলে সেটা হবে অপমানজনক। যার কারণে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে অ্যানেক্স ভবনের পাশে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, এটি সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ঠিক উত্তর পাশেই অ্যানেক্স ভবনের সামনে প্রতিস্থাপন করা হতে পারে। সেজন্য ওই ভবনের সামনে বেদীও তৈরি করা হয়েছে।
তবে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ বলেন, ভাস্কর্য প্রতিস্থাপনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভাস্কর্যটি অপসারণের আগে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতি-সম্পাদকদের ডেকে বৈঠক করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এ বিষয়ে পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভাস্কর্যটি সরানোর পক্ষে মত আসে। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভাতেও বিষয়টি আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এরপরই মূলত সরানো হয় ভাস্কর্যটি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ