জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে মূর্তি সরিয়ে নিয়ে ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মকে সম্মান করা হয়েছে। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই মূর্তিটা যদি উপস্থাপন করতাম তাহলে এটা আসল যে থেমিস সেটাকে বিকৃত করা হতো। কারণ এই মূর্তিটা কিন্তু থেমিসের আসল মূর্তির রূপ না। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও তামাকবিরোধী মিডিয়া জোট (আত্মা) আয়োজিত বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ও তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু বিকৃত করা থেকে সরে আসতে চাই এবং অতীতে যেসব বিষয়কে বিকৃত করা হয়েছে সেগুলোকে আমরা সবসময় নিন্দা করেছি। এ সময় মূর্তি সরানোতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে বলে আমি মনে করি না।
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, তামাক ও ধূমপান জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। ধূমপান শুধু ধূমপায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকেও সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। কারণ উন্নয়ন এবং সুস্বাস্থ্যের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই আমাদের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কনভেনশন এফসিটিসি-এর বাস্তবায়ন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর। এরই অংশ হিসাবেই ২০১৩ সালে ধুমপান এবং তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী পাস করা হয়েছে এবং ২০১৫ সালে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা পাস করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ওই বিধি অনুসরণ করে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ছবিসম্বলিত সতর্ক বার্তা সংযোজন করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকা-কে উৎসাহ দিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে তামাকের উপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি’ এবং ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি’ নামক দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করছে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ধুমপান বন্ধে প্রয়োজন জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। তাই তামাক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও এর অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। এছাড়া জনগণকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ