ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালু হলেও শিডিউল বিড়ম্বনায় যাত্রীরা
লিহান লিমা : কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সমস্যা দেখা দেয়ায় শনিবার সকালে বন্ধ হওয়া ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। রোববার যুক্তরাজ্যের হিথ্রো ও গ্যাটউইক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পুনরায় চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। তবে ফ্লাইট চালু হলেও শিডিউল বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা।
হিথ্রো বিমান কর্তৃপক্ষ যেসব যাত্রীর ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তাদের হিথ্রো থেকে যাতায়াত না করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া ফ্লাইটের সময় নিশ্চিত হয়ে যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানায়, রোববার থেকে হিথ্রো ও গ্যাটউইকে সব ধরণের সেবা চালু হবে এবং স্বাভাবিক শিডিউলে বিমান চলাচল করবে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে ১১টার মধ্যে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ৯০টি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে, বাতিল হয়েছে ৩৬টি ফ্লাইট। কোন ফ্লাইট বাতিল না হওয়া ছাড়াই গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে থেকে ১৭টি ফ্লাইট ছেড়ে গিয়েছে। যদিও শিডিউল বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে, শনিবার হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও অনেক যাত্রী তাদের লাগেজ হাতে পান নি। বিবিসি জানায়, হিথ্রো বিমানবন্দরে হাজার হাজার লাগেজ পড়ে আছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ লাগেজ সংগ্রহের জন্য যাত্রীদের বিমানবন্দরে পুনরায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, লাগেজগুলো যাত্রীদের ঠিকানায় কুরিয়ার করে দেওয়া হবে।
হিথ্রো বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানান, ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হওয়ার কারণে হিথ্রো বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের বিনামূল্যে পানি ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। যেসব যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারেননি তাদের পরবর্তী ফ্লাইটের জন্যে অপেক্ষা কিংবা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।
এর আগে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সিইও এ্যালেক্স ক্রুজ এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব কম্পিউটার ত্রুটি নিরসনে আমাদের আইটি বিশেষজ্ঞরা কাজ করে যাচ্ছেন। এটি বিদ্যুৎ ব্রিভ্রাটের কারণে এবং কোনো ধরনের সাইবার এ্যাটাক নয় বলেও এ্যালেক্স জানান।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ মে) সকাল থেকেই সার্ভার গোলযোগে লন্ডনের দুটি বড় বিমানবন্দর হিথ্রো ও গ্যাটউইক থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে বাতিল করার পর আন্তর্জাতিক বিমানযোগাযোগ ব্যবস্থায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ ওই দুটি বিমানবন্দর থেকে শনিবারের সব ফ্লাইট বাতিল করলেও বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট সূচিতে ধস নামে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি। সম্পাদনা: আবু সাইদ