আল্লাহর আরশের সঙ্গে মাটির কপালের সম্পর্ক জুড়াতে হবে
আল্লাহওয়ালা হয়ে ওঠার অফার শুরু হয়ে গেল। মওলা পাকের প্রেমবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সুযোগ যেন হয় আমাদের। আল্লাহকে কাছে পাওয়ার মুহূর্তগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। মাটির এই কপালকে আল্লাহর আরশের সঙ্গে জুড়ে দিতে হবে। সেজদার কপাল বড়-দামি! তেলাওয়াতের চোখ বড় মূল্যবান। জিকিরের ঠোঁট খুবই প্রেমময়। মুমিন বান্দার চোখের এক ফোটা পানি জাহান্নামের আগুন নেভাতে সহায়ক। মওলাপাকের এই রহমতের অফারকে মহা সুযোগ মনে করে কাজে লাগানো প্রয়োজন।
মহানবী সা. বলেছেন, ‘রমজান মাস শুরু হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষক অনবরত ঘোষণা করতে থাকে, হে সৎকর্মপরায়ণ! তুমি দ্রুত অগ্রসর হও। আর হে পাপাচারী! তুমি নিবৃত্ত হও।’ (তিরমিজি)
পবিত্র রমজানের আজ দ্বিতীয় দিন। এ মাসে আল্লাহ তায়ালার রহমত অফুরন্ত রহমত বর্ষণ হয়। এ মাসে আল্লাহর সব সৃষ্টি তাঁর অশেষ রহমতে ধন্য হয়। মহানবী সা. বলেছেন, এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম ভাগে আল্লাহর রহমত, মধ্যভাগে গুনাহের মার্জনা এবং শেষ ভাগে দোজখের আগুন থেকে মুক্তিলাভ রয়েছে’। (মিশকাত)।
মাহে রমজান বেশি বেশি নফল ইবাদত-বন্দেগি, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া-দরুদ পাঠ, তওবা-ইস্তেগফার ও প্রার্থনার মাধ্যমে রহমত কামনার সর্বোত্তম সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা দিয়েছেন, ‘এ মাসে পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালা তোমাদের দিকে শুভদৃষ্টি প্রদান করেন এবং রহমত বর্ষণ করেন, তোমাদের সব গুনাহ মাফ করে দেন ও দোয়া কবুল করেন। তোমাদের মধ্যে যদি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী অধিক সৎ কাজ করে শীর্ষস্থান অধিকার করতে পারে, আল্লাহ তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যক্ষ করতে থাকেন ও ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন। তোমরা অনেক বেশি সৎ কাজ করে আল্লাহকে দেখিয়ে দাও। আল্লাহর দয়া-অনুগ্রহ থেকে এ মাসে একমাত্র হতভাগ্যরাই বঞ্চিত থাকে।’
নবী করিম (সা.) মাহে রমজানকে রহমত, বরকত ও কল্যাণের মাস বলে আখ্যায়িত করেছেন। রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর বিশেষ রহমতে পরিপূর্ণ। ঝরনাধারার মতো আল্লাহর আশিসধারা রোজাদারদের অন্তররাজ্যে লোকদৃষ্টির অলক্ষ্যে বর্ষিত হতে থাকে।
মাহে রমজান হলো ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও সবরের মাস। এই মাস মুসলমানদের বিজয়ের মাস। এই মাসে নফল ইবাদতের সওয়াব বা পুরস্কার ৭০ গুণ বেশি। তবে রহমত লাভের কিছু বিশেষ আমল রয়েছে। এ জন্য আল্লাহর কাছে নিজেকে পরিপূর্ণ সমর্পণ করে দিতে হবে। যড়সধঁহধুঁন@ুধযড়ড়.পড়স