শিবিরের আইটি বিশেষজ্ঞদের খোঁজে গোয়েন্দারা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে না পেরে এখন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে (আইটি) বিশেষজ্ঞ কর্মী বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির। তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। গত শুক্রবার রাজধানীর পান্থপথ ‘হক চেম্বার’ থেকে জামায়াত-শিবিরের ২৫ আইটি বিশেষজ্ঞ গ্রেফতারে পর এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পর পুলিশী ধরপাকড় আর মামলায় প্রকাশ্যে রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের আদলে ইমেইল বার্তা, টুইটার, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হয়। মাঝে মধ্যে লোকচক্ষুর আড়ালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হতো। বর্তমানে এরা আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সারাদেশে শিবিরের প্রায় কয়েক লাখ কর্মীকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় এখনো যারা কারাগারে রয়েছে তাদের জামিনে বের করার চেষ্টা চলছে। বাইরে পলাতকরা রাজধানীসহ সারাদেশে নামে বেনামে কোচিং সেন্টার খুলে আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বাছাই করতে গতকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হচ্ছে। পুরো মাসজুড়ে চলবে এই বাছাই কার্যক্রম। এর আগে রেটিনা, স্কলারসহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এ চলতো কার্যক্রম। এসব কোচিংয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোয় নতুন নামে কোচিং সেন্টার খোলা হয়েছে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থদের সংবর্ধনা দেয়ার নামে মগজ ধোলাই কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এসব কোচিং সেন্টারে নিয়মিত নজরদারি বাড়ানোর পর নতুন নামে খোলা হয়েছে একাধিক কোচিং সেন্টার। তবে চিহ্নিত নেতাদের দিয়ে ওইসব কোচিং পরিচালনা করা হচ্ছেনা। ওইসব নেতারা নেপথ্যে থেকে জুনিয়রদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। ওইসব নেতা এবং আইটি বিশেষজ্ঞদের চিহ্নিত করতে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদনা-হুমায়ুন কবির খোকন