ইলিশ মৌসুমকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত বরিশালের জেলেপল্লী
প্রশান্ত কুন্ডু, বরিশাল: কেউ জাল বুনছেন, কেউবা পুরনো জাল সেলাই করে মাছ ধরার উপযোগী করছেন। কেউবা পুরনো নৌকা বা ট্রলার মেরামত করছেন। আবার কেউবা তৈরি করছেন নতুন ট্রলার। ইলিশ মৌসুমকে সামনে রেখে গভীর সাগরে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়ে এমন কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে বরিশালের বিভিন্ন জেলেপল্লীতে। গত বছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় এ বছরের আগাম প্রস্তুতিতে জেলেপল্লীর বাসিন্দারা এখন মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, মুলাদীসহ বিভাগের সর্ববৃহৎ মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর, কোড়ালিয়া, মৌডুবী এবং চরমোন্তাজের জেলেপল্লী গুলোতে এমন কর্মব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি। মেহেন্দীগঞ্জ জেলেপল্লীতে দেখা গেছে, জেলেরা মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত জাল সেলাই করে মাছ ধরার উপযোগী করছেন। জেলেপল্লী ও মৎস্য বন্দরগুলোতে ইলিশ মৌসুমকে ঘিরে চলছে ট্রলার মালিক, জেলে এবং আড়ৎদারদের মহাব্যস্ততা। ট্রলার মালিক, আড়তদার ও জেলে সমিতি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মৎস্য বন্দরগুলোতে শতাধিক নতুন ট্রলার নির্মিত হয়েছে। হিজলা এলাকার আমিনুর রহমান বলেন, তিনি নিজেই ভাড়াটে ট্রলার নিয়ে মৎস্য ব্যবসা করতেন। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এবার নিজেই একটি মাছ ধরার ট্রলার নির্মাই করেছেন। চলতি বছর জেলায় কমপক্ষে ৩০টি নতুন ট্রলার নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু ট্রলার নদীতে নামানো হয়েছে। ইলিশ মৌসুমে এসব ট্রলার মাছ শিকারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে।
মুলাদী এলাকার আনিস জানান, তিনি আগেও জালের সাভার (সাগর থেকে জাল উঠানো) কাজ করতেন। এ কাজে বিগত বছরে তার ভালও লাভ হয়েছে। এ বছর আট লাখ ব্যয়ে একটি মাছ ধরার নতুন ট্রলার নির্মাণ করছেন।সম্পাদনা : মুরাদ হাসান