স্টেনোগ্রাফার আরিফ হত্যা, সন্দেহের তীর স্ত্রীর দিকে
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : স্টেনোগ্রাফার আরিফুর রহমান হত্যার দুই মাস হলেও ঘটনার কোন ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ। নিহতের ভাই আমিনুর রহমান এ ঘটনায় সন্দেহ করছেন আরিফের স্ত্রী শামসুন্নাহারকে। প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে তিনি গত ২৮ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। আবেদনে জানানো হয়, আরিফুর রহমান বরগুনা সি, জে, এম আদালতের স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১২ বছর আগে তার সাথে বিয়ে হয় একই আদালতের আরেক স্টেনোগ্রাফার শামসুন্নাহারের সঙ্গে। তাদের ৫ বছর বয়সী আরাফাত নামের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। শামসুন্নাহারের সঙ্গে অন্য পুরুষের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক থাকায় আরিফের সাথে তার পারিবারিক কলহ অব্যাহত ছিলো। একপর্যায়ে শামসুন্নাহারসহ তার পরিবারের সদস্যরা আরিফকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই জের ধরে শামসুন্নাহারের পরিবারের সদস্যসহ তার পরকীয়া প্রেমিক চলতি বছরের গত ১ এপ্রিল আরিফুর রহমানকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে এবং আরিফের মৃতদেহ ঘর হতে বের করে দরজার সামনে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। মৃত্যুর পর বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহটি নিয়ে জানাযা দিয়ে পটুয়াখালী পাবলিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি আরো জানান, আরিফের মৃত্যু সন্দেহের সৃষ্টি করায় এ ব্যাপারে শামসুন্নাহারসহ তার পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করতে গেলে তারা এ ব্যাপারে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। বিষয়টি সকলের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করায় শামসুন্নাহারসহ তার পরিবারের সদস্য ও পরকীয়া প্রেমিককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থল ও আরিফের ব্যবহৃত মোবাইল-কম্পিউটার তদন্ত করলে হত্যাকান্ডের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া যাবে। এ ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটন করতে আরিফের লাশের পুনঃময়না তদন্ত জরুরি বলে মনে করেন তিনি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ