জহিরুল ইসলাম শিবলু,লক্ষ্মীপুর : ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে সোমবার মধ্যরাত থেকে মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও কোথাও প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝুঁকি নিয়ে অনেক জেলেকে নদীতে মাছ ধরতে দেখা গেছে। এছাড়া মোরা আতঙ্কে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাটের লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে শত-শত যাত্রী আটকা পড়ে এখন থাকা-খাওয়ার সমস্যায় রয়েছেন বলে জানান তারা। এতে নারী ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক-কার্গো। এদিকে, মোরা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্র। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেড ক্রিসেন্টের ১১১টি ইউনিট, গঠন করা হয়েছে ৬৫টি মেডিকেল টিম, সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ৬টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা অগ্রিম বরাদ্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম। তবে রামগতির চর মেহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চর আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, এসব কেন্দ্রে কোন মানুষ আশ্রয় নেয়নি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান