কক্সবাজারে ৫২ হাজার বসতবাড়ি বিধ্বস্ত
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজারের আট উপজেলায় মোট ৫২ হাজার ৫৩৯টি পরিবার বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার ২৩টি বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও ৩৫ হাজার ৫১৬টি বসতবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন খামার, ফসল এবং পানের বরজ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ে গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জরিপ মতে, জেলা আট উপজেলাতেই ‘মোরা’ আঘাত হেনেছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চল টেকনাফের সেন্টমার্টিন, শাহ পরীর দ্বীপ, মহেশখালীর কুতুবজোম, ধলঘাটা, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদরের পোকখালী, খুরুস্কুল, সমিতিপাড়ায় বেশি ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজারে চারজন নিহত হয়েছে। এরা সবাই গাছ পড়ে মারা গেছেন। তবে আরও একজন মারা গেছেন ভয়ে স্ট্রোক করে। আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত। এছাড়াও প্রায় একলাখ গাছ বিধ্বস্ত হয়েছে। সাগরে ৮টি ট্রলার ডুবিতে দেড় শতাধিক মাঝি-মাল্লা এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। তবে রাস্তাঘাটের তেমন ক্ষতি হয়নি।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ছিল। ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল। এই কারণে প্রাণহানি অনেক কম হয়েছে। তবে ঘরবাড়ি, পানবরজ ও গাছ-গাছালির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোরা’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে প্রতি উপজেলায় ১০০ টন চাল ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান