রাজারহাটে বাদামের বাম্পার ফলন
প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোতে চলতি মৌসুমে প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় বাদাম আবাদকারী কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বর্তমানে বাদাম তুলতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কৃষকরা। এবারে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধান ও পাটের আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হলেও বাদামের আবাদে প্রভাব পড়েনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বাদামের ফলন হয়েছে ভাল।
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের পাড়ামৌলার চর, শিয়াল খাওয়ার চর, তৈয়বখাঁর চর, গাবুরহেলান, আনন্দ বাজার, নাজিমখান ইউনিয়নের রতিদেব চর, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের রামহরি, চর খিতাবখাঁ, ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়ার চরসহ চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত মাঠজুড়ে সবুজ বাদামগাছের সমারোহ। পাড়া মৌলার চরের কৃষক আব্দুল হাকিম সবুজ ও কামরুজ্জামান জানান, ২৫ বিঘা জমিতে প্রায় ৮/৯মেট্রিক টন বাদাম পাওয়া যাবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুণ বাদাম পাওয়া গেছে। অন্যান্য চরের বাদাম চাষী কৃষক জাহেরুল ইসলাম, শাহজামাল, আব্দুল বাতেন, মিজানুর রহমান, পিয়ারুল ইসলাম জানান, চরের জমিতে বাদামের ফলন ভালো হওয়ায় আমরা খুশি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে বাদাম চাষ করবেন বলে জানান তারা। তৈয়বখাঁ চরের চাষী রফিকুল ইসলাম এ চরে এ বছর শতাধিক চাষী বাদাম আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম আবাদে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক বিঘা জমির বাদামে খরচ বাদে ৮/৯ হাজার টাকা লাভ হবে। ফলে ধান ও পাট আবাদের চেয়ে বাদাম চাষ অধিক লাভ জনক। তাই কৃষকরা এ আবাদে বেশী ঝুঁকে পড়েছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান