লিহান লিমা: জলবায়ু পরিবর্তন হুমকি রোধে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি কার্যকরে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ শুক্রবার এই বিষয়ে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে। প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের ১৯৫টি দেশের বাতাসে কার্বন দূষণের মাত্রা কমাবার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ঐকমত্যে পৌঁছায় শিল্পোন্নত সাত দেশ। যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলনে নিজের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার পর এই ইস্যুতে এখন নেতৃত্ব দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চীন ও ইইউ জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্যারিস চুক্তি একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এটি বিশ্বের দেশগুলোর যৌথ রাজনৈতিক ইচ্ছা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন।
যৌথ বিবৃতির খসড়ায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে ‘সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সদিচ্ছা’র উপর জোর দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই বিবৃতিতে বিশ্বে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সুরক্ষিত রাখার জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া হয়।
গত বুধবার এক টুইটার পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্যারিস চুক্তির বিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবো। আমেরিকাকে আবারও মহান করে তুলুন।’ সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়,‘ ইতোমধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউস।’
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগেই, জলবায়ু চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন ট্রাম্প। একে ‘ভাঁওতাবাজি’ বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি।
অবশ্য জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘কোনও একটি দেশ এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলেই চুক্তিটি ধসে যাবে না।’ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০১৬ সাল থেকেই প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করছে চীন ও ইইউ। দীর্ঘ কূটনৈতিক আলোচনার পর চুক্তি কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে উদ্যোগ নিতে ঐক্যমতে পৌছেছে দুই পক্ষ। সূত্র: রয়টার্স, ব্লুমবার্গ। সম্পাদনা : আঞ্জুমান আরা অনু