জাফর আহমদ : প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকিছু পণ্যে শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক কমানো বা প্রত্যাহারের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। এর ফলে বেশ কিছু পণ্যের দাম কমতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে এ আভাস দেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে আইসিটি খাত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান হিসেবে শুল্ক-কর প্রণোদনা এবং নীতি সহায়তা দেওয়ার ফলে মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাডের স্থানীয় সংযোজন ও উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হবে। ফলে এসব পণ্যে ও সেবার দাম কমবে।
কৃষি, মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে পণ্যের দাম কমতে পারে। কৃষিখাতের উন্নতিতে বিভিন্ন ধরনের চারাগাছের পরিচর্যায় ব্যবহৃত মালচ এবং গ্রিন হাউস প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত শেডিং নেটের শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে কৃষিপণ্যের বেশকিছু পণ্যের দাম কমতে পারে। কৃষির অন্যতম উপখাত মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের খাদ্যসামগ্রীর দামও কমবে।
দেশীয় মোটরসাইকেল ও হাইব্রিড গাড়ির দাম কমতে পারে। মোটরসাইকেলের স্থানীয় উৎপাদন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ খাতের জন্য শর্তসাপেক্ষে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করে গত অর্থবছরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এরই ধারাবািহকতায় আগামী বছর মোটরসাইকেলের দাম কমবে। একই সঙ্গে হাইব্রিড যানবাহন বৃদ্ধি করতে শুল্কহার পুনঃনির্ধারণ করা হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত ব্যাটারি দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানিও হচ্ছে। ইতিমধ্যে তৈরি পণ্যের আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক এবং জিংক ক্যালট, আর্সেনিক, এন্টিমনির শুল্কহার হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কারণে ব্যাটারির দাম কমবে।
আগামী বছর কৃষি যন্ত্রপাতির দাম কমতে পারে। যাতে কম খরচে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যে বিদ্যমান ১ শতাংশ আমদানি শুল্কের আওতায় আরো কিছু কৃষি উপকরণ যোগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে কৃষি যন্ত্রপাতির মূল্য কমতে পারে। চামড়াজাত শিল্প যন্ত্রপাতির দাম কমতে পারে। চামড়া দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি শিল্প এবং এক্ষেত্রে কাঁচামালের সিংহভাগ দেশেই উৎপন্ন হয়। এই খাতে ব্যবহৃত সব রাসায়নিক পণ্যকে অনেক আগে থেকেই শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে যন্ত্রপাতি শুল্কমুক্ত কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে সিরামিক ক্যান্সার প্রতিরোধক ঔষধসহ অন্যান্য ঔষধের দাম কমতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানি হচ্ছে। এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে বেশ কিছু সুবিধার প্রস্তাবনার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে কিছু ওষুধের দাম কমতে পারে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ