শিক্ষাখাতের বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার : অর্থমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম সুমন : টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। এর জন্য মানব সম্পদ উন্নয়নের বিকল্প নেই। তাই শিক্ষাখাতের বিনিয়োগকে আমরা সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। “শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ”-এ শ্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষাখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল জাতীয় সংবদে বাজেট বক্তৃতায় বলেন, শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গুণগত উৎকর্ষতা সাধনে ৫০৩টি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ইন্টারঅ্যাকটিভ শ্রেণিকক্ষ তৈরির পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান ও জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়নে ১৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া প্রতি জেলায় মৌলিক সাক্ষরতা ও সাক্ষরতা উত্তর জীবিকায়ন দক্ষতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পর্যায়ক্রমে ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আইসিটি রিসোর্স সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। ভর্তির হার বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া রোধের লক্ষ্যে স্কুল ফিডিং, উপবৃত্তি, নতুন অবকাঠামো ও অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণসহ চলমান অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও আছে জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বা পুনঃনির্মাণ কার্যক্রম।
তিনি বলেন, শিক্ষাকে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের অন্যতম প্রধান কৌশল হিসেবে বিবেচনা করে এ খাতকে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। দিন বদলের সনদ ও রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি আমরা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করছি। পরবর্তী অগ্রাধিকার হচ্ছে প্রশিক্ষিত শিক্ষক গড়ে তোলা। এ উদ্দেশ্যে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা অনবরত উন্নীত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১২০টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৮৫টি বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। সার্বিক শিক্ষা খাতের মানোন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ চলমান কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখবো। পাশাপাশি মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাসহ উচ্চ শিক্ষার প্রসার এবং উৎকর্ষতা সাধনে চলমান কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক একটি ৫ বছর মেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ হবে প্রায় ১৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৫টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আমাদের কার্যক্রমকে আরো জোরদার করবো।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রণীত হয়েছে এবং ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো স্থাপনে প্রকল্প অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ