হাসান আরিফ : ব্যাংকে এক লাখ টাকার বেশি থাকলে এখন আগের চেয়ে বেশি কর দিতে হবে সরকারকে। বছরের যে কোনো সময় ব্যাংক হিসেবে এক লাখ টাকা ডেবিট কিংবা ক্রেডিট হলে এতদিন ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক কাটা হত; নতুন অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক ৮০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দিতে হবে। ফলে বাড়তি ৩০০ টাকা গুণতে হবে গ্রাহকদের।
গতকাল সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এতদিন বছরের যে কোনো সময় একাউন্টে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডেবিট ও ক্রেডিটের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক আরোপ করা হত না। এখন ১ লক্ষ টাকার একাউন্টের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।
ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন ১ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা, ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হলে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ১ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হলে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১২ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে বিদ্যমান ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাট অল লেভেলস’ নীতি ও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতির ফলে ব্যাংকিং খাতে লেনদেনের আকার ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিবেচনায় রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দি এক্সাইজ এন্ড সলট অ্যাক্ট, ১৯৯৪ সংশোধনীর এই প্রস্তাব করেছেন।
এছাড়াও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ও সার্কভুক্ত দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান টিকেটে আবগারি শুল্কের বিদ্যমান পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে অন্যান্য ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
সার্কভুক্ত দেশ ছাড়া এশিয়ার অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১ হাজার টাকার পরিবর্তে ২ হাজার টাকা; ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৩ হাজার টাকা আবগারি শুল্কের প্রস্তাব করেছেন তিনি। বিমানযাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য এই শুল্ক এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ টিকেটের সঙ্গে যুক্ত করে আদায় করাবে।