এস এম সাব্বির, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:নীরবে-নিভৃতে আর অবহেলায় চলে গেল অসাম্প্রদায়িক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রাণ পুরুষ, শিানুরাগী, শিক্ষাবঞ্চিত জনপদের আলোকবর্তিকা ও ফরিদপুরের গান্ধী বলে খ্যাত মহাত্মা চন্দ্রনাথ বসু’র মৃত্যুবার্ষিকী। গতকাল শুক্রবার ছিল চন্দ্রনাথ বসুর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ দিবসটি উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠান বা আলোচনা সভা হয়নি। এমনকি তার প্রতিষ্ঠিত বৃহত্তম ফরিদপুরের মধ্যে দ্বিতীয় রামদিয়া সরকারি এসকে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। যে মানুষটি সারা জীবন দু.স্ত’, আর্তপীড়িত, অসহায় মানুষের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। সেই সমাজ সংস্কারকের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের নেই কোন আয়োজন। মহাত্মা স্বর্গীয় চন্দ্রনাথ বসু ১৮৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় নিভৃত পল্লী রামদিয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কৈলাস চন্দ্র বসু এবং মাতার নাম সৌদামিনী দেবী। স্কুলে পড়ার সুযোগ না পেলেও তিনি প্রকৃতির পাঠশালায় পাঠগ্রহন করেছিলেন। যিনি মানুষের কল্যাণে সুদীর্ঘ ৮৬ বছর যাবৎ অকান্ত পরিশ্রম আর কঠোর সাধনা করেছেন। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আর্তমানবতার সেবার মনোভাব নিয়ে ছুটে যেতেন অসহায় মানুষের পাশে। বন্যা প্রতিরোধের জন্য বাঁধ নির্মাণ, খরায়, জল সেচের জন্য খাল খনন, যোগাযোগের জন্য রাস্তা নির্মাণ, মজা পুকুর পরিস্কার করা, বন-জঙ্গল পরিস্কার করা এই ছিল তার কাজ। শিা প্রসারে তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। গণমানুষের মুক্তির জন্য জীবনের পুরোটা সময় নি.স্বার্থভাবে ব্যয় করেছেন। তারই প্রচেষ্টায় রামদিয়া সরকারি এসকে কলেজ, রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ শশী কমল বিদ্যাপীঠ এবং রামদিয়া বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পরে চন্দ্রনাথ বসু দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ১৯৫১ সালের ১৮ জুন মুক্তি পান।সম্পাদনা : মুরাদ হাসান