‘প্রস্তাবিত বাজেট অস্পষ্ট ও অসংগতিপূর্ণ’
জাফর আহমদ : বাজেটকে অস্পষ্ট ও বাস্তবতার সাথে সংগতিহীন বলে অবহিত করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনা পরবর্তী পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার ১১টায় রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এ পর্যালোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পর্যালোচনায় বলা হয়, পুরো বাজেট দেখে বোঝা যাবে না কোন পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে বা কমবে। তাই ট্যারিফ কমিশনের উচিৎ অতি দ্রুততার সাথে বিষয়টি নিদিষ্ট করা।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট ৮টি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা বলা হলেও তার অধিকাংশ অস্পষ্ট ও সংশয়ে ভরা। একই সাথে আর্থিক ভ্রম ও বাস্তবতার সাথে সংগতিপূর্ণ নয় এ বাজেট প্রস্তাবনা। অস্পষ্ট, অসংগতিপূর্ণ ও সংশয়ে ভরা বাজেট প্রস্তাবনা দিয়ে কিভাবে লক্ষ্য পূরণ হবে তা বোধগম্য নয়। যে সব বিষয় অস্পষ্ট তা হলো মূল্যস্ফীতি, প্রাক্কলিত বিনিয়োগ হার, ব্যাংক সুদ ও স্প্রেড, বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
তিনি বলেন, কোনো তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এমন অনুমান করা যায় বাজেটে স্পষ্ট করা হয়নি। অথচ বাজেটে যে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে তা নির্ভর করবে এসবের উপর।
বাজেট বাস্তবায়নের যে রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তবে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে ভ্যাট আইন কার্যকর করতে ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শান্ত রেখে সাধারণ মানুষের উপরে করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে। এর ফলে নিম্নমধ্য আয়ের মানুষের চাপ বাড়বে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়বে।
সরকারের উদ্দেশ্য ইতিবাচক নয় বলে মনে করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ট্যাক্স সুবিধা দেওয়া হলো, এ সুবিধা না দিয়ে অপ্রচলিত ও নতুন বাজার ধরার যে প্রণোদনা দেওয়া হয় তা আরও বাড়ানো উচিৎ ছিল। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ
জাফর আহমদ : বাজেটকে অস্পষ্ট ও বাস্তবতার সাথে সংগতিহীন বলে অবহিত করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনা পরবর্তী পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার ১১টায় রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এ পর্যালোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পর্যালোচনায় বলা হয়, পুরো বাজেট দেখে বোঝা যাবে না কোন পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে বা কমবে। তাই ট্যারিফ কমিশনের উচিৎ অতি দ্রুততার সাথে বিষয়টি নিদিষ্ট করা।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট ৮টি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা বলা হলেও তার অধিকাংশ অস্পষ্ট ও সংশয়ে ভরা। একই সাথে আর্থিক ভ্রম ও বাস্তবতার সাথে সংগতিপূর্ণ নয় এ বাজেট প্রস্তাবনা। অস্পষ্ট, অসংগতিপূর্ণ ও সংশয়ে ভরা বাজেট প্রস্তাবনা দিয়ে কিভাবে লক্ষ্য পূরণ হবে তা বোধগম্য নয়। যে সব বিষয় অস্পষ্ট তা হলো মূল্যস্ফীতি, প্রাক্কলিত বিনিয়োগ হার, ব্যাংক সুদ ও স্প্রেড, বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
তিনি বলেন, কোনো তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এমন অনুমান করা যায় বাজেটে স্পষ্ট করা হয়নি। অথচ বাজেটে যে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে তা নির্ভর করবে এসবের উপর।
বাজেট বাস্তবায়নের যে রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তবে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে ভ্যাট আইন কার্যকর করতে ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শান্ত রেখে সাধারণ মানুষের উপরে করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে। এর ফলে নিম্নমধ্য আয়ের মানুষের চাপ বাড়বে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়বে।
সরকারের উদ্দেশ্য ইতিবাচক নয় বলে মনে করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ট্যাক্স সুবিধা দেওয়া হলো, এ সুবিধা না দিয়ে অপ্রচলিত ও নতুন বাজার ধরার যে প্রণোদনা দেওয়া হয় তা আরও বাড়ানো উচিৎ ছিল। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ