‘রংপুর চেম্বারের বাজেট প্রতিক্রিয়া, নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি প্রতিষ্ঠার দাবি’
ডেস্ক রিপোর্ট : রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম প্রস্তাবিত বাজেটের কারণে দেশীয় এসএমই শিল্পখাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মূল্যস্ফীতি বাড়ার পাশাপাশি জনগণের কষ্ট বাড়বে বলে মনে করেন। এছাড়াও তিনি প্রস্তাবিত বাজেটকে জনকল্যাণমূলক ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবমূখী বলে দাবি করেছেন। এছাড়াও নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি প্রতিষ্ঠার দাবিও করেছে চেম্বারটি।নয়া দিগন্ত
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় চেম্বার প্রেসিডেন্ট বলেন, বাজেটে গরিব ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখা এবং শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত করাসহ বিলাসী পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করলে দেশীয় মাঝারি শিল্প বিকশিত হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। কিন্তু বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের জন্য তেমন কোনো অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব না থাকায় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে বলে রংপুর চেম্বার আশংকা করছে। এছাড়া পিছিয়ে পড়া উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে ‘নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি’ গঠনের পাশাপাশি রংপুর বিভাগে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ন্যায় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত ছিল বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। এ লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে প্রকল্প প্রণয়নসহ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানানো হয় প্রতিক্রিয়ায়।
রংপুর চেম্বার মনে করে, বাজেটে বিদ্যমান নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইনে সিঙ্গেল রেট ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দেশীয় শিল্পখাত বিশেষ করে এসএমই খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং নতুন ভ্যাট আইনে জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক খাতকে ভ্যাটের আওতায় আনায় সাধারণ জনগণের কষ্ট বাড়বে বলে রংপুর চেম্বার মনে করে।
এছাড়া বাজেটে করপোরেট কর হার পূর্ববৎ বহাল রাখায় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন এবং ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানোয় করদাতারা মূল্যস্ফীতির বাড়তি চাপে পড়বে। বাজেটে ব্যাংকে জমানো টাকায় বাড়তি আবগারি শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাবে মানুষ ব্যাংকে টাকা না রেখে বাড়িতে রাখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। এর ফলে ব্যাংকের আমানত প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হবে এবং নন ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন বেড়ে গিয়ে সামাজিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে বলে রংপুর চেম্বার আশংকা প্রকাশ করে। প্রতিক্রিয়ায় বর্ধিত আবগারী শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।