মতলুব হোসেন,জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গত তিন দিন যাবৎ বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেয়েছে বলে এলাকাবাসি জানান। ক্ষেতলাল-ইটাখোলা সাব-স্টেশন পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার জানান, ঘন ঘন বিদ্যুতের লাইন ফল্ট হওয়াই বগুড়া থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছেনা। ইটাখোলা পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানে পিক আওয়ারে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন । আমরা পেয়ে থাকি ৭-৮ মেগাওয়াট। পিক আওয়ারে ৮ মেগাওয়াট প্রয়োজন হলেও পাওয়া যায় সাড়ে ৩ মেগাওয়াট। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলে । কিন্তু গত এক মাস ধরে বগুড়া থেকে ইটাখোলা বিদ্যুৎ সরবরাহের ৩৩ কেভি লাইন প্রায় প্রতিদিন কোথও না কোথাও ফল্ট হচ্ছে। যার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। রামপুরা গ্রামের ব্যবসায়ী রবিন চৌধুরী বলেন, রোজা রমজানের দিন সকাল, বিকাল ও মধ্য রাতে বিদ্যুৎ থাকে না। গরমের জালাই একেবারে জীবন চলেনা । পল্লী বিদ্যুতের অফিসে মোবাইল করলে তাদের ক্ষুব্ধ কথাবার্তা শুনতে হয়। রসালপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ থেকে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সাপলাই হতো, তখন প্রায় ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ পেতাম । এখন তার বিপরীত চিত্র। ক্ষেতলাল সদরের মেডিসিন রিপ্রেজেনটেটিভ মনছুর রহমান বলেন, ইটাখোলা পল্লী বিদ্যুতের সাব -স্টেশনের দায়িত্বে থাকা অ যোগ্য একজন ইঞ্জিনিয়ার আমরা পেয়েছি।
সঠিক রক্ষাণাবেক্ষনের অভাবে জোড়ে বৃষ্টি হলে এবং হালকা বাতাসে বিদ্যুৎ বিচ্ছন্ন করা হয় । অথচ এখানে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাতৃ স্বাস্থ্য ভাউচার প্রকল্পে সিজারসহ অহরহ বিভিন্ন ধরনের অপারেশন হচ্ছে। সেখানে জরুরী সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ইটাখোলা পল্লী বিদ্যুতের সাব -স্টেশনের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, আমার করার কিছুই নাই। লাইন ফল্ট হলে মেরামত না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎ দেওয়া হয় না। তবে সমস্যার বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান