বিজিএমইএর প্রতিক্রিয়া প্রস্তাবিত বাজেট শিল্পবান্ধব নয়, আগামী ২ বছর কর প্রত্যাহারের দাবি
আরিফুর রহমান তুহিন: প্রস্তাবিত বাজেটকে শিল্পবান্ধব পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ তৈরী পোষাক শিল্প এবং রপ্তানি কতৃপক্ষ (বিজিএমইএ)। তাদের দাবি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত তৈরী পোষাক খাত আজ ধ্বংসের মুখে। অথচ এই খাতে দেশের বৃহৎ অংশ মানুষ জড়িত। তাই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আগামী ২ বছর সকল প্রকার কর প্রত্যাহার করার দাবি করেন তারা। গতকাল রোববার সংগঠনটি প্রধান কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তি প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এসব বলেন।
তিনি বলেন, ব্রেক্সিট ইস্যু, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নির্বাচন ইত্যাদির প্রভাব আমাদের দেশের পোষাক খাতে ব্যাপকভাবে পড়েছে। এছাড়া প্রধান বাজার ইউরোপিও ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এ কারণে চলতি অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল মাসে পোষাক রপ্তানি গড়ে ২.২১ শতাংশ কমেছে। আবার প্রতি বছর শ্রমিকদের বেতন শতকরা ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে কাঁচামালের দাম। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর সাথে আছে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স এর চাপ। ফলে সক্ষমতা হারিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই ধংসের মুখে পতিত হতে যাওয়া দেশের সর্ববৃহৎ এই শিল্পকে বাঁচাতে আগামী দুই বছর সকল প্রকার কর প্রত্যাহার করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি শিল্পের প্রতিযোগি সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে কর্পোরেট কর আগামী ৫ বছরের জন্য পূর্বের ন্যায় ১০ শতাংশ করার দাবি জানান।
দেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের প্রধান বৈদেশীক মুদ্রা অর্জনকারী দুটি খাত পোষাক ুিশল্প ও প্রবাসী আয় ক্রমেই হ্রাস করছে। দুটি খাতেই বাংলাদেশ তাদের বাজার হারাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো বিভিন্ন প্রকার নীতি সহায়তা ও প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচীর মাধ্যমে শক্তিশালী অবস্থানে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার প্রণোদনার মাধ্যমে তারা বাজার দখল করছে। ফলে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। তাই সরকারকে এই খাত দুটিকে সহায়তা দিয়ে শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু