রাশিদ রিয়াজ : লন্ডন ব্রিজে গাড়ি নিয়ে হামলাকারীর ৩জনের একজন ফরাসি ও অন্যজন কানাডার নাগরিক। পুলিশ তাদের পরিবারগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। একজন হামলাকারী চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ার পর পুলিশকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে গণমাধ্যমকে হামলাকারীদের পরিচয় এখনই বিস্তারিত প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। পূর্ব লন্ডনে ১ হামলাকারীর বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। আরো কিছু এলাকায় তল্লাশি চলছে।
পুলিশ পূর্ব লন্ডনের বার্কিং এলাকায় হামলাকারীদের একজনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ সেখানে কিছু নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটায়। এর পর ঐ এলাকা থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে যার মধ্যে সাতজন নারী রয়েছেন। প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন হামলাকারী ঐ ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তিন বছর ধরে বাস করছিলেন।
একজন প্রতিবেশি জানিয়েছেন গত দুই বছর ধরে তার মধ্যে উগ্রবাদী চিন্তাভাবনা দেখছিলেন তিনি। সে নিয়ে পুলিশকেও জানিয়েছিলেন কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ব্রিটেনে প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা এখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অপরের সমালোচনা করে বক্তব্য দিচ্ছেন। লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, জনগণের নিরাপত্তা সবচাইতে গুরুত্ব পাওয়া উচিত। সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার পূর্ণ কর্তৃত্ব দেয়া উচিত। কিন্তু পুলিশ বাহিনীতে ২০ হাজার জনবল কমিয়ে সেটি কোনোদিন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কৃপণতা করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়।
টরি পার্টি জেরেমি করবিনের পাল্টা সমালোচনা করে বলেছে তিনি মরিয়া হয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই হামলার নিন্দা চলছে বিশ্বজুড়ে। শনিবার রাতের ঐ হামলায় সাতজন নিহত হয়। আহত হয়েছে ৫০ জনের মতো।
এদিকে ব্রিটেনের সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন নিহত তিন হামলাকারীকে প্রতিহত করতে আটজন পুলিশ কর্মকর্তা মূল ভূমিকা রেখেছেন। তারা তিন হামলাকারীকে হত্যা করার সময় ৫০টি গুলি ছুঁড়েছেন। তিন হামলাকারীই তাতে নিহত হয়েছে। বিবিসি