নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হতে পারে এমন খবরেই এই খাতের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে যাদের প্রকৃতপক্ষে সঞ্চয়পত্র প্রয়োজন তারা প্রয়োজনীয় সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না। ব্যাংকগুলোতে দিনের পর দিন ও মাসের পর মাস আবেদনপত্র জমা দিয়েও সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না। বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এই সব কথা।
সূত্র জানায়, এক একজন মাসের পর মাস সঞ্চয়পত্র ক্রয় করার আবেদনপত্র জমা দিলেও ব্যাংকগুলো তা সরবরাহ করতে পারছে না। অক্টোবর মাসে আবেদন করার পর এখনও পর্যন্ত পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেননি এমন ক্রেতাও রয়েছেন। তবে কবে পাবেন জানেন না। এমন আরও অনেক গ্রাহক রয়েছেন যাদেরকে সঞ্চয়পত্র সরবরাহ করা যাচ্ছে না । এখন গ্রাহকদের কি করে বোঝানো যাবে যে ব্যাংকগুলোর হাতে তার নিয়ন্ত্রণ নেই। অনেকেই বিভিন্ন ব্যাংকে যাচ্ছে কোথাও পাচ্ছে না। এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে যে জিপিওতেও নাকি পরিবার সঞ্চয়পত্র মিলছে না। ব্যাংকে যাদের অনেক দিন ধরে টাকা পড়ে আছে কিন্তু তারা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ লাভজনক মনে করে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সঞ্চয়পত্র পাচ্ছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবার সঞ্চয়পত্র নারীদের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগ হওয়ার কারণে বেশিরভাগ নারী তা কিনতে চান। কিন্তু তারা তা কিনতে পারছেন না।
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুবোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা পূরণ হয়ে গেছে অনেক আগেই। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। তবে বিক্রি বন্ধ নেই। এখনও বিক্রি হচ্ছে। কেউ যদি বিক্রি না করেন কিংবা গ্রাহকদের সরবরাহ করতে না পারেন সেটা তাদের বিষয়। এই ব্যাপারে আমাদের করণীয় কিছু নেই। কেউ যদি কোথাও না পান আমাদের এখানে এলেও নিতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ