কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ৬ আরব দেশ
আনোয়ারুল করিম : জঙ্গিবাদ সমর্থন করে উপসাগরীয় অঞ্চল অস্থিতিশীল করার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইয়েমেন এবং লিবিয়া। এছাড়াও আল-কায়েদা ও আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনকে মদদ দেয়া এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগও তোলা হয়েছে দেশটির বিরুদ্ধে। এই সিদ্ধান্তের পর দেশগুলো থেকে কাতারের সঙ্গে স্থল, নৌ ও আকাশপথের সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কাতার থেকে এই দেশগুলোতে যাতায়াতকারী বিমানযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিকে এই দেশগুলো কাতার থেকে তাদের কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি কাতারের কূটনীতিকদেরও সেদেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।
আরব দেশগুলোর সম্পর্কচ্ছেদ করার সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায্য’ বলে উল্লেখ করে এ সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেছে কাতার। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে কাতার সরকার বলেছে, ‘পদক্ষেপগুলো অন্যায্য এবং এমন সব দাবি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেগুলো নেয়া হয়েছে, যার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। এর উদ্দেশ্য স্পষ্ট, কাতারের ওপর নিজেদের খবরদারি চাপিয়ে দেয়া।’
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ জানায়, রিয়াদ কাতারের সঙ্গে তাদের স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ সীমান্ত এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসপিএ জানায়, উগ্রপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ থেকে সৌদির জাতীয় নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিশরও কাতারের সঙ্গে আকাশসীমা এবং সব বন্দর পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করেছে।
ইয়েমেনের হাউদি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট থেকেও কাতারকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আরব আমিরাতের অভিযোগ, দোহা জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা এবং বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠনকে সমর্থন, অর্থায়ন এবং মদদ দিচ্ছে। অন্যদিকে নিজেদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কাতারের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বাহরাইন।