আসামি নয়, ‘আইনজীবীকেই জেলে পাঠালেন বিচারক! ভরা এজলাসে কীর্তি ফাঁস
ডেস্ক রিপোর্ট : দিব্যি আইনজীবী হিসেবে পসার জমিয়ে ফেলেছিল সে। নিয়মিত আদালতে আসামিদের পক্ষে-বিপক্ষে সওয়ালও করত। কিন্তু যে কোর্ট রুমে দাঁড়িয়ে আইনজীবী হিসেবে সে সওয়াল করত, সেখানেই যে তার হাটে হাঁড়ি ভাঙবে, তা বোধ হয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেনি ভুয়ো আইনজীবী। এবেলা
একের পরে এক ভুয়ো ডাক্তারের গ্রেফতারি নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। এরই মধ্যে এবার উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ আদালতে খোঁজ পাওয়া গেল এক ভুয়ো আইনজীবীর। অভিযুক্তের নাম সাগর সূত্রধর। পঁচিশ বছর বয়সি ওই ভুয়ো আইনজীবীর বাড়ি বনগাঁর মাঝেরপাড়া এলাকায়। এই ভুয়ো আইনজীবীকে ধরতে অবশ্য পুলিশকে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। কারণ, বনগাঁ আদালতের এক বিচারকই অভিযুক্তকে হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলেন। এর পরে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
সোমবার বনগাঁ আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌরব ঘোষের এজলাসে একটি মামলা চলার সময়ে সওয়াল করছিল ওই ভুয়ো আইনজীবী। তখনই তার কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয় ওই বিচারকের। ওই ‘আইনজীবীর’ কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় বিচারক সাগরের সিনিয়রকে ডাকার নির্দেশ দেন। তখন ওই ভুয়ো আইনজীবী জানায়, তার সিনিয়র অনুপস্থিত। সেই কথা শুনে ম্যাজিস্ট্রেট সাগরের কাছে জানতে চান, সে কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছে? জবাবে প্রথমে বিহারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বললেও কলেজের বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি সাগর। সন্দেহ জোরালো হওয়ায় এর পর ওই ম্যাজিস্ট্রেট তার কাছে আরও কিছু প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য জানতে চান। তারও জবাব দিতে পারেনি ওই যুবক। এর পরেই অভিযুক্তকে বনগাঁ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশি জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করে অভিযুক্ত। জেরায় সে স্বীকার করে, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলেও কলেজের গ-ি কখনও পার হয়নি সে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ