গোপালগঞ্জে বাড়ছে তামাক চাষ
এস এম সাব্বির , গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে স্বল্প মেয়াদে লাভ বেশির কারণে চলতি বছর তামাক চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সিগারেট কোম্পানির লোভনীয় ফাঁদে পড়ে ও বাজারে বিক্রির ঝামেলা না থাকায় আবাদী জমিতে ব্যাপকভাবে তামাক চাষ করছেন কৃষকেরা। কৃষি বিভাগের প থেকে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করা হলেও কৃষকরা তা শুনছেন না। এতে একদিকে যেমন আবাদি জমির চরম তি হচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এসব গ্রামের যেসব জমিতে একসময় ধান ফলতো সেখানে এখন তামাকের সমারোহ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, মাত্র ২০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষের কথা থাকলেও প্রায় পাঁচ গুণ বেশি জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। গত বছরগুলোতে ধান, পাট বা অন্য ফসলের লোকসান পুষিয়ে নিতে বিকল্প ফসল হিসেবে তামাকই বেছে নিয়েছেন কৃষকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষকেরা জানান, ধানসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করে প্রতি বছর লোকসান দিতে হয়। কিন্তু তামাক চাষে কোন লোকসান হয় না। তাছাড়া চাষ করার আগে ঋণ পাওয়া যায়। আর বাজারে গিয়ে বিক্রির ধকলও নেই, বাড়ি থেকেই তামাক পাতা কিনে নিয়ে যায় বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা।গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী শফিকুল আলম বলেন, ধূমপানের কারণে ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েইে চলেছে। তামাক চাষ বন্ধ না করা গেলে আগামীতে রোগীর সংখ্যা বাড়বে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী বলেন, কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে সভা, সেমিনারসহ বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা কৃষকদের অন্য ফসল চাষে উৎসাহিত করছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান