এক অপ্রত্যাশিত প্রধানমন্ত্রীর বই পর্যালোচনা ‘মনমোহন সিং একজন সৎ মানুুষ ছিলেন, কিন্তু ছিলেন অসহায়’
কামরুল আহসান : সংসদীয় গণতন্ত্র অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী একটি দেশের সরকারের প্রধান ব্যক্তি। ক্ষমতাবলে না হলেও অন্তত কাগজপত্রে তাই। কিন্তু কিছু দেশের প্রধানমন্ত্রী আছেন শুধু নামমাত্র। প্রতিকী দায়িত্ব ছাড়া তাদের আর কোনো পদাধিকার নেই। তেমনই একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ভারতের জাতীয় কংগ্রেমের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর জাতীয়তাজনিত প্রশ্নের বিতর্ক এড়াতে অপ্রত্যাশিতভাবে মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পরবার দুবার তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অপ্রত্যাশিত হলেও তিনি অভানীয় ছিলেন না, ছিলেন না দলের হাতের পুতুল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন যোগ্য প্রধানমন্ত্রীর মতোই। কেমন ছিল তার সেই দিনগুলো? অন্যের নেতৃত্বের আওতায় থেকে কীভাবে তিনি কাজ করতেন? তা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সঞ্জয় বারুর স্মৃতিচারণামূলক বই : দ্য একসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার : দ্য মেকিং এন্ড আনমেকিং অফ মনমোহন সিং।
সঞ্জয় বারু ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। যার ফলে তিনি মনমোহন সিংকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। ১৩ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিংয়ের আকস্মিক আবিভার্ব তিনি খুব আবেগপূর্ণ দৃষ্টি থেকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রথমবার যেমন তেমনই হোক, দ্বিতীয়বার তিনি প্রচ- সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। বিশেষ করে কংগ্রেসের সমস্ত অপকর্ম, দূর্নীতির দায়ভার তার কাঁধে এসেই চাপছিল। কিন্তু তার আসলে কিছু করার ছিল না। একমাত্র সোনিয়া গান্ধীর ক্ষমতাবলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসীন ছিলেন। তাই সোনিয়া গান্ধীর কথা তাকে শুনতে হয়েছে। রাহুল গান্ধী, মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বাট্রার অনেক ভুল সিদ্ধান্তের দায়ভারও তাকে কাঁধে নিতে হয়েছে। সঞ্চয় বারু তার বইতে বলেছেন, মনমোহন সিং একজন সৎ মানুষ ছিলেন, কিন্তু ছিলেন অসহায়। জিও নিউজ