‘সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ গোপন রাখা হতো’
জাফর আহমদ : সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ এতদিন গোপন করে রাখা হতো। এ কারণে আগে খেলাপি ঋণ কম থাকলেও এখন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আগামীতে আরও তিন শত কোটি টাকা বাড়বে বলে জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। গতকাল সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একটি প্রশ্নে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, তিন থেকে সাড়ে তিন বছর বিভিন্ন কমিটি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে কোনও কাজ করতে পারেনি আগেকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ কারণে হলমার্কের ঋণের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ বা কলকারখানা কাজে লাগানোর জন্য কার্যকর কোনও উদ্যোগ নিতে পারেনি। হলমার্কের বিরুদ্ধে সবগুলো মামলার রায় সোনালী ব্যাংকের পক্ষে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে। হলমার্ক সম্পর্কে সোনালী ব্যাংকের তিনটি করণীয় আছে। প্রথমত, হলমার্কের মালিক ও তার স্ত্রীকে মুক্তি দিয়ে কালখানা চালু করে টাকা রিকোভারি করার চেষ্টা করা। দ্বিতীয়ত, প্রশাসক নিয়োগ করে হলমার্কের অবশিষ্ট মিল কলকারখানা চালু রাখা। তৃতীয়ত, যেমন আছে তেমনভাবে ফেলে রেখে সম্পদগুলো নষ্ট করা।
তিনি বলেন, ছোট্ট ঋণ গ্রহিতার কাছে থেকে যত সহজে টাকা আদায় করা ও মামলা করে সুবিধা করা যায়; বড় ও প্রভাবশালী গ্রাহকের কাছে থেকে মামলা করে টাকা আদায় করা তত কঠিন। মামলা করে একটি পর্যায়ে এলেই উচ্চ আদালতে রিট করে টাকা আদায় প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয়। ব্যাংকের টাকা আদায় করার জন্য স্বতন্ত্র আদালতের প্রয়োজন বলেন তিনি উল্লেখ করেন। সম্পাদনা : রিকু আমির